ইঞ্জিনিয়ারিং ছেড়ে ক্রিকেটের ময়দানে পা দিয়েই তামিলনাড়ুকে মুস্তাক আলির ফাইনালে তুললেন সরবন কুমার

হায়দরাবাদকে উড়িয়ে টানা তিনবার জাতীয় টি-২০ টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠল তামিলনাড়ু।

পি সরবন কুমার। ছবি- বিসিসিআই।

আর্কিটেকচার ছেড়ে ভারতীয় ক্রিকেটে ইতিমধ্যেই পসার জমিয়েছেন বরুণ চক্রবর্তী। এবার হদিশ মিলল ইঞ্জিনিয়ারিং ছেড়ে ক্রিকেটের ময়দানে পা জমানো দক্ষিণের আরও এক নতুন তারকার।

বসয় নিতান্ত কম নয়। ৩২ বছর বয়সে যেখানে বহু ক্রিকেটার কেরিয়ার শেষের কথা ভাবেন, সেখানে পি সরবন কুমারের রাজ্যদলে এটাই অভিষেক মরশুম। আবির্ভাবেই চমকে দিলেন কোয়াম্বাটুর থেকে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের গ্র্যাজুয়েট সরবন।

তামিলনাড়ু প্রিমিয়র লিগে নজরকাড়া বোলিং করে তামিলনাড়ুর টি-২০ দলে ঢুকে পড়েন। চলতি সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতেই জাতীয় স্তরে অভিষেক হয় সরবনের। গোয়ার বিরুদ্ধে অভিষেক ম্যাচে ২টি উইকেট নেন। কেরলের বিরুদ্ধে কোয়ার্টার ফাইনালে উইকেট পাননি। এবার তামিলনাড়ুর জার্সিতে নিজের তৃতীয় ম্যাচে মাঠে নেমেই চমকে দিলেন সরবন। সেমিফাইনালের মতো বড় মঞ্চে ৫ উইকেট নিয়ে তামিলনাড়ুকে ফাইনালে তোলেন সরবন।

সেমিফাইনালে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে হায়দরাবাদ ১৮.৩ ওভারে ৯০ রানে অল-আউট হয়ে যায়। তনয় ত্যাগরাজন দলের হয়ে সবথেকে বেশি ২৫ রান করেন। বাকি দশজন ব্যাটসম্যানের কেউ দু'অঙ্কের রানে পৌঁছতে পারেননি।

সরবন কুমার ৩.৩ ওভারে ২টি মেডেন-সহ ২১ রানের বিনিময়ে ৫টি উইকেট নেন। ১৩ রানে ২টি উইকেট নিয়েছেন মুরুগান অশ্বিন। ১২ রানে ২টি উইকেট নিয়েছেন এম মহম্মদ।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে তামিলনাড়ু ১৪.২ ওভারে ২ উইকেটের বিনিময়ে ৯২ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। হরি নিশান্ত ১৪ রান করে আউট হন। সাই সুদর্শন ৩৪ ও ক্যাপ্টেন বিজয় শঙ্কর ৪৩ রান করে অপরাজিত থাকেন। ৮ উইকেটের বড় জয়ে ফাইনালের টিকিট পকেটে পোরে গতবারের চ্যাম্পিয়ন তামিলনাড়ু। এই নিয়ে তারা টানা তিনবার মুস্তাক আলির খেতাবি লড়াইয়ে জায়গা করে নেয়।