৩৫০ টি একদিনের ম্যাচ। এই ফরম্যাটে ১০ হাজারেরও বেশি রান। ৩২১টি ক্যাচ। ১২৩টি স্টাম্প আউট। পকেটে তিনটে আইসিসি ট্রফি। তিনি কে? আলাদা করে নাম বলার প্রয়োজন নেই। তিনি মহেন্দ্র সিং ধোনি। তবে ওডিআইতে মাত্র ২১টি ম্যাচে সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছেন। সবচেয়ে বেশি ম্যান অফ দ্য ম্যাচ পুরস্কার পাওয়া ক্রিকেটারদের পরিপ্রেক্ষিতে ধোনি তালিকায় অনেকটাই পিছনে। সামগ্রিকভাবে ৩৩তম এবং ভারতীয় হিসাবে সপ্তম। প্রাক্তন স্পিনার সইদ আজমল মনে করেন ২০১২ সালের ডিসেম্বরে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে তৃতীয় ওয়ানডেতে ধোনি ম্যাচের সেরা পুরস্কার জেতার যোগ্য ছিলেন না।
২০১২ সালে ভারত পাকিস্তানের তৃতীয় একদিনের ম্যাচে দলের সদস্য ছিলেন পাক স্পিনার সইদ আজমল। আজমল দ্য নাদির আলি পডকাস্টে কথা বলার সময় ওই ম্যাচের স্মৃতিচারণা করে তিনি বলেন, 'আমি মনে করি এটা আমার দুর্ভাগ্য। আমি তৃতীয় ওয়ানডেতে ভারতকে ১৭৫ রানে আউট করে দিয়েছিলাম। এটা একমাত্র সিরিজ যা আমি ভারতে খেলেছি। আমরা প্রথম দুটি ম্যাচ জিতেছি। আমি দুটিতেই অসাধারণ বোলিং করেছি। তৃতীয় ওডিআইতে আমি পাঁচ উইকেট পেয়েছি যা এখনও আমার সেরা ওডিআই পরিসংখ্যান। কিন্তু এমএস ধোনি, প্রায় ১৮ রান করার জন্য এবং দুটি ক্যাচ ড্রপ করার জন্য, ম্যান অফ দ্য ম্যাচের পুরস্কার কেড়ে নিয়েছিলেন। এটা অন্যায়। যেহেতু ভারত ম্যাচটা জিতেছে, তারা ধোনিকে একটি ক্যাচ ড্রপ করার পরও ম্যাচের সেরার পুরস্কার দিয়েছে।'
আজমল তাঁর কেরিয়ারে বিশ্বের এক নম্বর ওডিআই এবং টি-টোয়েন্টি বোলার ছিলেন। আশ্চর্যজনকভাবে তার কেরিয়ারে কখনওই ম্যাচের সেরার পুরস্কার জেতেনি। আজমল ১১৩টি ম্যাচের ওয়ানডে কেরিয়ারে দুটি পাঁচ উইকেট নিয়েছেন। যার মধ্যে একটি আসে আজমলের উল্লেখিত ম্যাচে। তিনি ৫ ইউকেট নিয়েছিলেন ২৫ রান দিয়ে। ভারত ১৬৭ রানে অলআউট হয়েছিল যেখানে ধোনি ৩৬ রান করে সর্বোচ্চ স্কোরার ছিলেন। আর একটি অংশ যা আজমল ভুল বলেন তা হল ধোনির ড্রপ ক্যাচ। কারণ রবীন্দ্র জাদেজার বোলিংয়ে একটা কঠিন ক্যাচের সুযোগ আসে। যা ধরা প্রায় অসম্ভব বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। আসলে আজমলকে আউট করতে ধোনি নিজেই ক্যাচ নেন। উমর আকমলকে স্টাম্প করেন।
আজমল নিজের ম্যাচের সেরা না হওয়ার পিছনে আরও একটি খেলার উদাহরণ টেনে এনে বলেন, 'আমি একবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে একটি ম্যাচে চারটি উইকেট নিয়েছিলাম। আমি ম্যাচের সেরার ম্যাচের পুরস্কার জিততে পারিনি, কিন্তু সিরিজের সেরার পুরস্কার জিতেছিলাম। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ওই সিরিজের একটি ম্যাচেই আমি হাসিম আমলাকে আউট করি। ওর উইকেটটা সেই সময় খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। দক্ষিণ আফ্রিকাকে জিততে গেলে ১২ বলে ১০ রান করতে হতো। এটিই প্রথম পাকিস্তান দল যারা দক্ষিণ আফ্রিকায় ওয়ানডে সিরিজ জিতেছিল। সেই সফরে প্রতিটি ম্যাচেই আমি ম্যাচ জেতানো পারফরম্যান্স দিয়েছিলাম। তবে একটাও ম্যাচের সেরার পুরস্কার জিততে পারিনি।'
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।