এবারে যুক্তরাষ্ট্র ওপেনে তারুণ্যের হুঙ্কার শোনা গেছে। একের পর এক রথী-মহারথীদের পিছনে ফেলে তড়তড়িয়ে এগিয়ে গিয়েছেন লেইলা ফার্নান্ডেজের মতো নবাগতরা। তাই বছরের শেষ গ্র্যান্ড স্ল্যামের ফাইনালটাও সেই ধারাকে বজায় রেখেই দুই টিনএজারদের মধ্যেই হতে চলেছে।
এই শতকে প্রথমবার অল টিনএজার ফাইনালে ব্রিটেনের এমা রাডুকানুর মুখোমুখি হতে চলেছেন কানাডার লেইলা ফার্নান্ডেজ। মারিয়া সাকারিকে ৬-১, ৬-৪ ব্যবধানে স্ট্রেট সেটে দুরমুশ করে ফাইনালে নিজের জায়গা পাকা করেন তিনি। প্রসঙ্গত, ওপেন যুগে রাডুকানু প্রথম টেনিস খেলোয়াড় যিনি মহিলা গ্র্যান্ড স্ল্যাম সিঙ্গেলসে নিজের জায়গা পাকা করতে সক্ষম হয়েছে।
এখানেই শেষ নয়, ছয় দশকে রাডুকানুই ব্রিটেনের কনিষ্ঠতম টেনিস তারকা হিসাবে স্ল্যামের ফাইনালে নিজের জায়গা পাকা করতে সক্ষম হন। উইম্বলডনে চতুর্থ রাউন্ডে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার কারণে চতুর্থ রাউন্ডে ম্যাচ ছাড়তে বাধ্য হন রাডুকানু। তার জেরে বিস্তর সমালোচনাও ধেয়ে আসে তাঁর দিকে। তবে কোয়ালিফায়ার খেলে ফ্লাশিং মিডোয় মূলপর্বে সুযোগ পাওয়া রাডুকানু এখনও অবধি একটি সেটও না খুইয়ে ফাইনালে পৌঁছলেন। এদিন ম্যাচেও তাঁর দাপুটে পারফরম্যান্সের সামনে কার্যত দাঁড়াতেই পারেননি সাকারি।
অপরদিকে, দ্বিতীয় বাছাই সাবালেঙ্কার বিরুদ্ধে তুলনামূলক কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হওয়ারই কথা ছিল লেইলা ফার্নান্ডেজের। অভিজ্ঞতার দিক থেকে কানাডিয়ান টেনিস সেনশসনের দিক থেকে বেশ খানিকটা এগিয়ে বেলারুসের সাবালেঙ্কা। তবে ফ্লাশিং মিডোয় গোটা টুর্নামেন্টেই সমর্থকদের পাশে পেয়েছেন লেইলা। এদিনও সেই সমর্থনে ভর করেই ইতিহাস সৃষ্টি করলেন তিনি।
সাবালেঙ্কার বিরুদ্ধে এক চুলও জমি ছাড়তে নারাজ ছিলেন সদ্য ১৯-এ পা দেওয়া লেইলা। তিন সেটের ম্যাচে প্রথম সেটেই হাড্ডাহাড্ডি টক্কর চোখে পড়ে। তবে ৭-৬(৩), ৪-৬, ৬-৪ ব্যবধানে জিতে নিজের বিজয়রথ অব্যাহত রাখেন কানাডিয়ান টিনএজার তরুণী লেইলা। রবিবার (ভারতীয় সময় অনুযায়ী) ঐতিহাসিক ফাইনালে আর্থার অ্যাশ স্টেডিয়াম মুখোমুখি হবেন লেইলা ও রাডুকানু। প্রসঙ্গত, শেষবার টিনএজার হিসাবে মার্টিনা হিঙ্গিস ও সেরেনা উইলিয়ামস ফ্লাশিং মিডোয় খেতাবের লড়াইয়ে ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিলেন।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।