করোনার জেরে কঠোর বিধিনিষেধ জারি রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার। আর সেই নিয়েই যত গণ্ডগোল। যার প্রভাব পড়তে চলেছে অ্যাশেজেও। আসলে অস্ট্রেলিয়া সরকার ইংল্যান্ড প্লেয়ারদের পরিবারকে দেশে ঢোকার অনুমতি দিচ্ছে না। আর ইংল্যান্ডের প্লেয়াররাও ক্রিসমাসের সময়ে পরিবার ছাড়া অস্ট্রেলিয়ায় সফরে রাজি নন। যা নিয়েই তীব্র মতানৈক্য শুরু হয়েছে।
আসলে এ বার ডিসেম্বরে অ্যাশেজ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। জানুয়ারি পর্যন্ত এই সিরিজ চলবে। তাই ক্রিসমাসের সময় পুরোটাই বাইরে কাটাতে হবে ইংল্য়ান্ড ক্রিকেটারদের। আর এই উৎসবের সময়ে পরিবারের সঙ্গে থাকতেই আগ্রহী ইংল্যান্ডের প্লেয়াররা। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া সরকার কোনও ভাবেই রাজি হচ্ছে না। আর এর তীব্র সমালোচনা করেছেন ইংল্য়ান্ডের প্রাক্তন তারকা ক্রিকেটার মাইকেল ভন।
তিনি বলেছেন, এই কঠোর নিয়মের কারণে যদি ইংল্যান্ডের মূল দল অ্যাশেজ খেলতে না যায়, যদি দুর্বল টিমের বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়া এই সিরিজ খেলে, তবে তা প্রহসনের বিষয় হয়ে উঠবে। তাই অস্ট্রেলিয়ার উচিত, পরিবার সহ ইংল্যান্ড দলকে স্বাগত জানানো। ভনের দাবি, ‘যদি এই সমস্যার দ্রুত সমাধান না হয় এবং ইংল্যান্ডের ক্রিকেটাররা তাঁদের পরিবার সহ অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়ার অনুমতি না পায়, সে ক্ষেত্রে অ্যাশেজ কিন্তু প্রায় এক বছর পিছিয়ে যাবে।’
এর সঙ্গেই ভন যোগ করেছেন, ‘যদি সেটাও না হয়, তা হলে ইংল্যান্ডের দুর্বল দলের বিরুদ্ধে এটা প্রহসনের সিরিজ হয়ে উঠবে। কিন্তু অ্যাশেজে সব সময়েই সেরার সঙ্গে সেরার লড়াই হওয়া উচিত।’ আর প্রত্যেকেই জানে, ইংল্যান্ড বনাম অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে অ্যাশেজের লড়াইয়ের সঙ্গে কতটা আত্মসম্মান জড়িয়ে থাকে!
ডিসেম্বরের ৮ তারিখ থেকে অ্যাশেজের প্রথম টেস্ট শুরু হবে। এবং পঞ্চম তথা শেষ টেস্ট ১৪ জানুয়ারি শুরু হয়ে ১৮ তারিখ শেষ হওয়ার কথা। এর আগেও ক্রিসমাসের সময়ে পরিবার সহ ইংল্যান্ড দল অস্ট্রেলিয়ায় গিয়েছে এবং অ্যাশেজে অংশ নিয়েছে। কিন্তু করোনা অতিমারীর সময়ে কঠোর কোয়ারেন্টাইন নিয়ম থাকায়, একই রকম ব্যবস্থা করা সম্ভব নয় বলেই অস্ট্রেলিয়ার তরফে জানানো হয়েছে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।