সুপ্রিম কোর্টে বোর্ড মামলার শুনানি হতেই বাংলা ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা সিএবি-তে নির্বাচনের তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে। কে বসবেন সিএবি-র মসনদে এখন সেটা নিয়েই অঙ্ক কষা শুরু হয়ে গিয়েছে। অভিষেক ডালমিয়ার মেয়াদ শেষ হয়েছে। ২০১৫ সালে জগমোহন ডালমিয়ার মৃত্যুর পর অভিষেক সিএবি সচিব হন। ২০১৯ সালে সৌরভ বোর্ড প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর অভিষেক সিএবি-র সর্বোচ্চ পদে বসেন। সুপ্রিম কোর্টের নতুন নির্দেশিকা মানলেও ২০২১ সালেই রাজ্য সংস্থায় টানা ৬ বছর শেষ হয়েছে অভিষেকের। তাঁকে সিএবি প্রেসিডেন্ট পদ ছাড়তে হবে।
অভিষেক ডালমিয়া সরে গেলে সিএবি প্রেসিডেন্ট হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে থাকবেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের দাদা তথা প্রাক্তন ক্রিকেটার স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়। যিনি ২০১৯ সাল থেকে সিএবি সচিব এবং ২০২৫ সাল পর্যন্ত তাঁর সিএবি প্রশাসনে থাকা নিশ্চিত। শোনা যাচ্ছে, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সৌরভের দাদা স্নেহাশিস সিএবি প্রেসিডেন্ট হতে পারেন।
আরও পড়ুন… অবসর নেব কিনা জানতে চেয়েছিল বাবর, শোয়েব মালিকের বিস্ফোরক দাবি
স্নেহাশিস সরলে নতুন সচিব বেছে নিতে হবে। শোনা যাচ্ছে, সচিব পদে লড়াই হতে পারে। এদিকে সক্রিয় হতে শুরু করেছে সিএবি-তে এক সময় সৌরভের বিরোধী গোষ্ঠী হিসাবে পরিচিত ও অধুনা রাজ্যের শাসক দলের কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে। মাঠে নামতে পারেন সুবীর গঙ্গোপাধ্যায়রা। কোষাধ্যক্ষ পদে দেবাশিস গঙ্গোপাধ্যায়কে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে হতে পারে। সিএবি-র বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট নরেশ ওঝা ও যুগ্মসচিব দেবব্রত দাসের ভবিষ্যৎ এখনও চূড়ান্ত নয়।
এদিকে সিএবিতে সকলেই জানতে চাইছেন কবে হতে পারে সিএবি-র ভোট প্রক্রিয়া? প্রথা অনুযায়ী সেপ্টেম্বরেই সিএবি-তে বার্ষিক সাধারণ সভা হয়ে নতুন কমিটি বেছে নেওয়ার কথা। কিন্তু বোর্ড যেহেতু সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল, সেই মামলার শুনানির দিকে তাকিয়ে ছিল সিএবি-ও। দেশের সর্বোচ্চ আদালত কোন নির্দেশিকা দেয়, তার অপেক্ষায় ছিলেন বাংলার ক্রিকেট প্রশাসকরা। বুধবারের রায়ের পর অবশ্য সিএবি-ও দ্রুত নির্বাচন সেরে ফেলতে চায়।
আরও পড়ুন… Asad Rauf Dead: ICC এলিট আম্পায়ার থেকে অকাল ‘পতন’, এবার অকাল প্রয়াণ, চলে গেলেন আসাদ রউফ
যা শোনা যাচ্ছে সেপ্টেম্বরে আর সময় নেই। এরপরেই পুজোর ছুটি। তারপরই সিএবি-তে নির্বাচন করা হতে পারে শোনা যাচ্ছে। কারণ এমনিতেই লোঢা কমিটির সুপারিশ মেনে সিএবি-র সংশোধিত সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনের আগে একজন নির্বাচনী আধিকারিক নিয়োগ করতে হবে। পাশাপাশি সদস্যদের ২১ দিন আগে নোটিস দিতে হবে। ফলে বলা যেতেই পারে দুর্গাপুজোর আগে সিএবির ভোট হচ্ছে না।