আধুনিক ক্রিকেটে ফিটনেসের উপর জোর দেয় সব দলই। ফিটনেস নিয়ে কড়াকড়ি এমন মাত্রায় পৌঁছে গিয়েছে যে, নির্দিষ্ট ফিটনেস মান ছুঁতে না পারলে স্কোয়াডে নির্বাচিত হয়েও বাদ পড়তে হয় ক্রিকেটারদের। সাম্প্রতিককালে ক্রিকেটারদের বয়স নিয়ে গুঞ্জন ওঠে বিস্তর। তরুণ রক্তের আমদানিতে কম-বেশি মেতে উঠতে দেখা যায় সব দলকেই।
বিষয়টা এমন জায়গায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে যে, মনে হয় বুঝি ক্রিকেটটা তরুণদের খেলা। তারুণ্য বনাম অভিজ্ঞতার মধ্যে একটা লুকোনো দ্বন্দ্ব চলে স্কোয়াডের মধ্যেই।
তবে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টে পাকিস্তান প্রমাণ করে দিয়েছে অভিজ্ঞতার দাম কতটা। ব্যক্তিগত পারফর্ম্যান্সের নিরিখে তারুণ্যের সঙ্গে কড়া টক্কর দিয়েছে অভিজ্ঞতা। বরং বলা ভালো তরুণ ক্রিকেটারদের থেকে বয়স্করা নজর কাড়েন বেশি।
১. ৩৩ বছর বয়সী আবিদ আলি কেরিয়ারের প্রথম দ্বিশতরান করেন। অপরাজিত ২১৫ রানের সুবাদে ম্যাচের সেরা হয়েছেন তিনি।
২. প্রথম ইনিংসে ৩৬ বছরের আজহার আলি ১২৬ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন।
৩. ৩৪ বছরের নউমান আলি কেরিয়ারের সেরা ৯৭ রানের আগ্রাসী ইনিংস খেলেন।
৪. ৩৬ বছর বয়সে টেস্ট তথা আন্তর্জাতিক অভিষেকে প্রথম ওভারেই উইকেট নিয়ে নজির গড়েন তাবিশ খান।
৫. ৩৪ বছরের নউমান আলি দ্বিতীয় ইনিংসে ৮৬ রানের বিনিময়ে ৫ উইকেট দখল করেন।
ম্যাচ তথা সিরিজ জয়ে এঁদের প্রত্যেকের অবদান অসামান্য। তারুণ্যের হয়ে আবিদ-নউমানদের সঙ্গে পাল্লা দিয়েছেন ২৬ বছরের হাসান আলি, যিনি প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নেন। এছাড়া ২১ বছরের শাহিন আফ্রিদি দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেট দখল করেন।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।