Wimbledon: বালক বিভাগের সেমিফাইনালে প্রবাসী বাঙালি সমীর, পারবেন লিয়েন্ডারের নজির স্পর্শ করতে?

ক্রোয়েশিয়ার প্রতিপক্ষ মিলি পোলিসাককে ৬-১, ৬-১ পরাজিত করেন সমীর।

সমীর ব্যানার্জি। ছবি- টুইটার।

শুভব্রত মুখার্জি

১৯৯১ সালে উইম্বলডনের সবুজ ঘাস সাক্ষী থেকেছিল ভারতীয় টেনিস জগতের আকাশে এক 'ধ্রুবতারা'র উত্থানের। কলকাতার বেকবাগানের গলি থেকে উঠে এসে সেই যে টেনিস বিশ্বকে শাসন করতে শুরু করেছিলেন তৎকালীন 'বালক' লিয়েন্ডার সেই শাসন এখনও অটুট। সেই ঘটনার ঠিক ৩০ বছর বাদে ফের অল ইংল্যান্ডের সবুজ ঘাসে আরেক বাঙালির কাছে স্বপ্নকে সত্যি করার হাতছানি। হোক না সমীর ব্যানার্জি প্রবাসী। তাতে কি এসে যায়। যে অভাবনীয় দক্ষতার পরিচয় দিয়ে তিনি চলতি উইম্বলডনের বালক সিঙ্গেলসের সেমিফাইনালে পৌছালেন তা সত্যিই প্রশংসনীয়।

অভাবনীয় সফলতার পরিচয় দিয়ে ১৭ বছর বয়সী এক প্রবাসী বাঙালি সন্তান উইম্বলডন জুনিয়র্সের শেষ চারে পৌছে গিয়েছেন,যা একেবারেই মুখের কথা নয়। তবে নাগরিকত্বের দিকটি বিবেচনা করতে গেলে তিনি ভারতীয় নন। সাত সাগর তরো নদীর পাড়ের আমেরিকার বাসিন্দা সমীর।

সমীরের টেনিসের দাপট এতটাই যে কোয়ার্টার ফাইনালে তার প্রতিপক্ষ ক্রোয়েশিয়ার মিলি পোলিসাককে কার্যত তিনি পর্যুদত করলেন। খেলার ফল সমীরের পক্ষে ৬-১, ৬-১। এখানেই তার চোখ ধাঁধানো পারফরম্যান্স শেষ হচ্ছে না। উল্লেখ্য এর আগে অবাছাই সমীর তৃতীয় রাউন্ডে ৬-২, ৬-১ ফলে খড়কুটোর মতন উড়িয়ে দিয়েছেন পঞ্চম বাছাই ব্রাজিলের প্রতিপক্ষকে।

আমেরিকার নিউ জার্সির বাস্কিং রিজের বাসিন্দা সমীরের সাফল্যের উন্মাদনা স্পর্শ করেছে কলকাতা শহরকেও। বর্তমানে সমীর বিশ্ব জুনিয়ার ক্রমতালিকায় ১৯ নম্বরে রয়েছে। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে তার টেনিস ক্যারিয়ারের পথচলা শুরু। সেই বছর দিল্লিতেও খেলে গিয়েছেন সমীর। সেই প্রতিযোগিতায় অর্থাৎ আইটিএফ জুনিয়ার্সে কোয়ার্টার ফাইনালে হারের মুখ দেখা সমীর এবার উইম্বলডনের বালক সিঙ্গেলসের খেতাব জিতে লিয়েন্ডার পেজের নজিরকে স্পর্শ করতে পারেন কিনা এখন সেটাই দেখার।