ভারতের প্রাক্তন ফাস্ট বোলার এস শ্রীসন্থ একটি টি টেন ম্যাচের শেষ ওভারে নিজের দুরন্ত বোলিং করে বাইশ গজে আলোড়ন ফেলে দিয়েছিলেন। কেপটাউন স্যাম্প আর্মির বিরুদ্ধে আরেতে হারারে হারিকেনসের হয়ে শেষ ওভারে আট রান রক্ষা করেছেন তিনি। ৪০ বছর বয়সেও এই বোলার তাঁর মারাত্মক ডেলিভারি দিয়ে কেবল প্রতিপক্ষ দলকেই নয় ভক্তদেরও অবাক করে দিয়েছিলেন। মজার ব্যাপার হল, ম্যাচে মাত্র একটি ওভার বল করেছিলেন এস শ্রীসন্থ। এরপর সুপার ওভারেও জয় পায় তাঁর দল।
১১৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শেষ ওভারে জয়ের জন্য কেপটাউন দলের প্রয়োজন ছিল ৮ রান। সেই সময়ে বল হাতে ছিল এস শ্রীসন্থের। করিম জানাতকে ক্লিন বোল্ড করেন তিনি। এখন পাঁচ বলে ৮ রান দরকার ছিল। অভিষেক হওয়া শন উইলিয়ামসের দ্বিতীয় বলে একটি সিঙ্গেল দেন এস শ্রীসন্থ। আর স্ট্রাইকে আসা ম্যাথু একটি চার মারেন। এখন শেষ ৩ বলে কেপটাউন দলের দরকার ছিল ৩ রান।
৩ রান ডিফেন্ড করা ছিল শ্রীসন্থের জন্য একটি কঠিন পরীক্ষা। তিনিও এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। উইলিয়ামস শেষ বলে রান আউট হয়ে কেপটাউনকে ১১৫ রানে সীমাবদ্ধ করে। এরপর সুপার ওভারে জয় পায় তার দল হারিকেন। সুপার ওভারে, স্যাম্প আর্মি প্রথমে ব্যাট করে এবং রহমানুল্লাহ গুরবাজের উইকেট হারিয়ে মাত্র সাত রান করতে পারে। জবাবে, ডনভন ফেরেইরা এবং মহম্মদ নবি শেষ বলে লক্ষ্য তাড়া করে হারিকেনসের জন্য জয় এনে দেন।
এর আগে হারারে হারিকেনসের শুরুটা খারাপ করেছিল। রবিন উথাপ্পা (শূন্য) এবং রেগিস চাকাবওয়া (শূন্য) প্রথম ওভারে আউট হন এবং তৃতীয় ওভারে শেলডন কটরেলের বলে এভিন লুইস (৩) সাজঘরে ফিরে যান। ডোনোভান ফেরেরা একাই নেতৃত্ব দেন এবং অপরাজিত ৮৭ রানের ইনিংস খেলে দলকে ১১৫ রানে নিয়ে যান। মারেন ৬টি চার ও ৮টি ছক্কা। এরপরে বল হাতে চমক দেখান ৪০ বছর বয়সি শ্রীসন্থ। একসময় সাদা বলের ক্রিকেটে অন্যতম বিস্ফোরক বোলার হিসেবে বিবেচিত হতেন তিনি। প্রাক্তন ভারতীয় ফাস্ট বোলার এস. জিম আফ্রো T10-এ নিজেকে ফের প্রমাণ করলেন।
ম্যাচের পরে ৪০ বছর বয়সি এই খেলোয়াড়কে বেশ খুশি দেখাচ্ছিল এবং শ্রীসন্থ বলেছিলেন, ‘আমি খুব খুশি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাকে এই টুর্নামেন্টে সুযোগ দেওয়ার জন্য হারারে হারিকেনস টিম ম্যানেজমেন্টকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। টিম ম্যানেজমেন্ট এবং সমস্ত সদস্য আমার হৃদয়ের খুব কাছাকাছি এবং আমি শুধু একটি সুযোগের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। এই ম্যাচটি ছিল খুবই উত্তেজনাপূর্ণ।’ শ্রীসন্থ বলেছেন, ‘এটি হারারে হারিকেনসের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ খেলা ছিল, আমাদের কেপটাউন স্যাম্প আর্মির বিরুদ্ধে এই খেলাটি জিততে হয়েছিল এবং আমি খুব কৃতজ্ঞ যে আমি এমন চাপের পরিস্থিতিতে দলের জন্য ভাল পারফর্ম করতে পেরেছি। খেলার সেই ঐতিহাসিক সমাপ্তির অংশ হতে পারা, এমনকি ৪০ বছর বয়সেও, দ্রুত বোলিং করা এবং ভালো ইয়র্কার বোলিং করা দুর্দান্ত ছিল।’ শ্রীসন্থ এরপরে হেসে বললেন, ‘আমি কৃতজ্ঞ, ঈশ্বর, খুব দয়ালু।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।