জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে সিরিজের প্রথম টি-২০ ম্যাচে কষ্ট করে জিতেছিল পাকিস্তান। তবে দ্বিতীয় ম্যাচেই মুখ খবড়ে পড়লেন বাবর আজমরা। জিম্বাবোয়ের মতো দুর্বল দলের বিরুদ্ধে ১০০ রানের গণ্ডি টপকাতে ব্যর্থ হয় পাকিস্তান।
এমনটা নয় যে, বড়সড় লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে ঝুঁকি নিতে গিয়ে উইকেট খুইয়ে বসে পাকিস্তান। বরং লো-স্কোরিং ম্যাচে অযথা নিজেদের উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে আসেন ফকর জামান, মহম্মদ হাফিজরা।
হারারেতে টস জিতে জিম্বাবোয়েকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠায় পাকিস্তান। নির্ধারিত ২০ ওভারে জিম্বাবোয়ে ৯ উইকেটে ১১৮ রানের বেশি তুলতে পারেনি। ওপেনার তিনাশি দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৪ রান করেন। এছাড়া ব্রেন্ডন টেলর ৫, মারুমানি ১৩, ওয়েসলি ১৬, রিয়ান ৩, চাকাবভা ১৮, মুসাকান্দা ১৩ ও লিউক ৭ রান করেন।
মহম্মদ হাসনাইন ও দানিশ আজিজ ২টি করে উইকেট নেন। ১টি করে উইকেট দখল করেন ফহীম আশরাফ, আর্শাদ ইকবাল, হ্যারিস রউফ ও উসমান কাদির।
জয়ের জন্য মাত্র ১১৯ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে পালটা ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান। ৫ ওভারে কোনও উইকেট না হারিয়ে ২১ রান তোলেন দুই ওপেনার মহম্মদ রিজওয়ান ও বাবর আজম। ৫.১ ওভারে রিজওয়ান ব্যক্তিগত ১৩ রানে সাজঘরে ফেরার পর থেকেই নিয়মিত অন্তরে উইকেট হারাতে থাকে পাকিস্তান।
ফকর জামান ২, হাফিজ ৫, দানিশ ২২, আসিফ আলি ১, ফহীম ২, উসমান ০, হ্যারিস ৬ ও আর্শাদ ০ রানে আউট হন। বাবর আজম একপ্রান্ত আঁকড়ে ৫টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৪৫ বলে ৪১ রান করে সাজঘরে ফেরেন। তিনি আগ্রাসী ব্যাটিং করলে জিম্বাবোয়ের আনকোরা বোলিং লাইন আপের বিরুদ্ধে এত অল্প রান তুলে ম্যাচ জিততে বিশেষ অসুবিধা হওয়ার কথা ছিল না। পরিবর্তে পাকিস্তান ১৯.৫ ওভারে ৯৯ রানে অল-আউট হয়ে যায়। অথচ একসময় ৩ উইকেট হারিয়ে ৭৮ রান তুলে ফেলেেছিল পাকিস্তান।
১৯ রানে ম্যাচ জিতে ৩ ম্যাচের সিরিজে ১-১ সমতা ফেরায় জিম্বাবোয়ে। লিউক ১৮ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হন। ২১ রানে ২টি উইকেট নিয়েছেন রিয়ান।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।