জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে সদ্য সমাপ্ত টেস্ট সিরিজে দলগত ও ব্যক্তিগতভাবে পাক ক্রিকেটে রেকর্ডের ছড়াছড়ি। ক্যাপ্টেন হিসেবে বাবর আজম যেমন দেশের ইতিহাসে সর্বকালীন নজির গড়েন এবং ছুঁয়ে ফেলেন ধোনিকে, ঠিক তেমনই দলগতভাবেও বেশ কয়েকটা রেকর্ড নিজেদের নামে করে পাকিস্তান।
১. জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে হারারের দ্বিতীয় টেস্টে পাকিস্তানের তিন জন বোলার ইনিংসে ৫ উইকেট নেন। প্রথম ইনিংসে হাসান আলি এবং দ্বিতীয় ইনিংসে আফ্রিদি ও নউমান ৫ উইকেট দখল করেন। এই প্রথমবার কোনও টেস্টে পাকিস্তানের তিন জন বোলার ৫ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করেন।
এই নিয়ে টেস্টের ইতিহাসে ৬ বার এমন ঘটনা ঘটে। শেষবার একই টেস্টে কোনও দলের তিন বোলার ইনিংসে ৫ উইকেট নেন ১৯৯৩ সালে। এজবাস্টনে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ার পল রেইফেল, শেন ওয়ার্ন ও টিম মে ইনিংসে ৫টি করে উইকেট নিয়েছিলেন।
২. পাকিস্তানের হয়ে প্রথম এবং সার্বিকভাবে টেস্টের ইতিহাসে দ্বিতীয়বার এক ইনিংসে দু'জন বাঁ-হাতি বোলার ৫টি করে উইকেট নেন। ১৯০৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে এজবাস্টনে ইংল্যান্ডের জর্জ হার্স্ট ও কলিন প্রথমবার এমন কৃতিত্ব দেখিয়েছিলেন।
৩. পাকিস্তানের প্রথম ক্যাপ্টেন হিসেবে কেরিয়ারের প্রথম চারটি টেস্টে নেতৃত্ব দিতে নেমে চারটিতেই দলকে জয় এনে দেন বাবর আজম। এর আগে পাকিস্তানের কোনও ক্যাপ্টেন কেরিয়ারের শুরুতে টানা ২টি'র বেশি টেস্টে জয় পাননি। বাবর এক্ষত্রে ছুঁয়ে ফেলেন মহেন্দ্র সিং ধোনির নজির। ধোনিও ক্যাপ্টেন্সি কেরিয়ারের শুরুতে টানা চারটি টেস্টে জয় তুলে নেন।
সার্বিকভাবে ষষ্ঠ ক্যাপ্টেন হিসেবে কেরিয়ারের প্রথম চারটি টেস্টে জয়ের মুখ দেখেন বাবর। ক্যাপ্টেন্সি কেরিয়ারের শুরুতে টানা ৯টি ম্যাচ জেতেন ইংল্যান্ডের পার্সি চাপম্যান। অস্ট্রেলিয়ার ওয়ারউইক আর্মস্ট্রং ৮টি ম্যাচ জিতেছিলেন। ধোনি ও বাবর ছাড়া ৪টি করে টেস্ট জিতেছেন ডব্লিউজি গ্রেস, লর্ড হাওক, ব্রায়ান ক্লোজ ও আলি বাখার।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।