বাংলা নিউজ >
টেকটক > নিকটবর্তী ছায়াপথ থেকে পৃথিবীতে ৫০ সেকেন্ডব্যাপী লাগাতার বিচ্ছুরণ! ব্যাপারটা কী?
নিকটবর্তী ছায়াপথ থেকে পৃথিবীতে ৫০ সেকেন্ডব্যাপী লাগাতার বিচ্ছুরণ! ব্যাপারটা কী? Updated: 09 Dec 2022, 08:29 PM IST Soumick Majumdar এই আলোর বিচ্ছুরণ গামা-রে বিস্ফোরণ বা GRB নামে পরিচিত। এটিই মহাবিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী বিচ্ছুরণ। গবেষকরা বলছেন, এই রশ্মির পর্যবেক্ষমের মাধ্যমে আমাদের মহাবিশ্বের সম্পর্কে নতুন কিছু ধারণা মিলতে পারে। এর আগের সমস্ত গামা রে বিস্ফোরণের থেকে এটি একেবারে আলাদা, বলছেন গবেষকরা। 1/6 পৃথিবীর নিকটস্থ এক ছায়াপথ থেকে অত্যন্ত বিরল এবং বিশাল এক আলোর বিচ্ছুরণ ঘটেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নর্থওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির গবেষকরা জানিয়েছেন, গত বছরের শেষের দিকে পৃথিবীতে প্রায় ৫০ সেকেন্ড ধরে এই বিপুল শক্তি আছড়ে পড়েছিল। গবেষক জিলিয়ান রাস্টিনেজাদের নেতৃত্বাধীন বিজ্ঞানীদের এক গবেষণায় উঠে এসেছে এই তথ্য। ফাইল ছবি: জিলিয়ান রাস্টিনেজাদ 2/6 এই আলোর বিচ্ছুরণ গামা-রে বিস্ফোরণ বা GRB নামে পরিচিত। এটিই মহাবিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী বিচ্ছুরণ। গবেষকরা বলছেন, এই রশ্মির পর্যবেক্ষমের মাধ্যমে আমাদের মহাবিশ্বের সম্পর্কে নতুন কিছু ধারণা মিলতে পারে। এর আগের সমস্ত গামা রে বিস্ফোরণের থেকে এটি একেবারে আলাদা, বলছেন গবেষকরা। সাধারণত সুবিশাল কোনও নক্ষত্রের পতনের ফলে যে বিস্ফোরণ হয়, তার থেকে এমন শক্তির বিচ্ছুরণ ঘটে। ফাইল ছবি: টুইটার 3/6 'আমরা লক্ষ্য করেছি, অন্যান্য সমস্ত নিউট্রন তারকা একত্রিতকরণের সময়ে দুই সেকেন্ডেরও কম সময় ধরে বিস্ফোরণ হয়। কিন্তু এইবারে প্রায় ৫০ সেকেন্ড ধরে GRB পর্যবেক্ষণ করেছি আমরা। আর সেই কারণেই এটি অনেক বেশি উল্লেখযোগ্য,' বলছেন জিলিয়ান রাস্টিনেজাদ। ফাইল ছবি: নাসা 4/6 জিলিয়ান বলেন, এই ধরনের দীর্ঘস্থায়ী জিআরবি কোথা থেকে এসেছে, তার খোঁজ করাই এখন আমাদের প্রধান লক্ষ্য। আর সেই আবিষ্কার আগামিদিনে অনেক নতুন গবেষণার দিশা দেখাতে পারে। মহাবিশ্ব সম্পর্কে আরও নানা প্রশ্নের উত্তর মিলতে পারে এই ঘটনা থেকে। ফাইল ছবি: নাসা 5/6 যে গ্যালাক্সি থেকে এই রশ্মি এসেছে সেটিও উল্লেখযোগ্য। কেন? কারণে এটি একেবারে তরুণ অবস্থার একটি ছায়াপথ। সেখানে এখনও তারাদের গঠনই হয়ে চলেছে। এমন কোথাও এত বিশাল নক্ষত্রের পতন কীভাবে সম্ভব, সেই বিষয়টিও ভাবাচ্ছে গবেষকদের। ফাইল ছবি: টুইটার 6/6 যে ছায়াপথ এই সুবিশাল রশ্মির উত্স, তা তুলনামূলকভাবে পৃথিবীর কাছাকাছিই অবস্থিত। আর সেই কারণে এই বিস্ফোরণের একটি সম্ভাব্য ছবি আঁকতে পারছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁদের গণনা অনুযায়ী, এই ঘটনার ফলে যে পরিমাণ ভারী উপাদান সৃষ্টি হয়েছে, তা আমাদের পৃথিবীর ভরের প্রায় এক হাজার গুণেরও বেশি। ফাইল ছবি: রয়টার্স