বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গডকড়ির ব্যাখ্যা। আর তারপরেই বৈদ্যুতিক গাড়ি কিনলেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ। শনিবার রাজ্যসভার একটি ভিডিয়োও শেয়ার করেছেন তিনি। জয়রাম জানান, গত ২২ মার্চ গডকড়ির কথা শোনার পরেই Tata Nexon EV কেনেন তিনি। পেট্রোল-ডিজেল গাড়ি পর্যায়ক্রমে বন্ধ করা এবং বৈদ্যুতিক যানের বিক্রি উত্সাহিত করার বিষয়ে সরকারের পরিকল্পনা কী? এ বিষয়ে তাঁর প্রশ্নের উত্তরে ব্যাখ্যা দেন কেন্দ্রীয় পরিবহণ মন্ত্রী নীতিন গড়করি। জয়রাম এটাও মনে করেন যে, ২০৩৫ সালের মধ্যে পেট্রোল এবং ডিজেল গাড়ির উত্পাদন বন্ধ করা উচিত। আরও পড়ুন : Flipkart Big Saving Days: Redmi থেকে Oppo-র ফোনে দারুণ ছাড়! দেখে নিন
বাজেট অধিবেশনের আলোচনার ভিডিয়োটি টুইট করেছেন জয়রাম রমেশ। দেখুন সেই ভিডিয়ো:
ভিডিয়োতে, কংগ্রেস নেতাকে প্রশ্ন করতে দেখা যাচ্ছে। তিনি গডকড়িকে জিজ্ঞাসা করেন যে, সমস্ত পেট্রোল এবং ডিজেল যানবাহন ফেজআউট করার জন্য ভারতের কোনও নির্দিষ্ট রোডম্যাপ আছে কিনা। তিনি আরও বলেন, সেটা না হলে ব্যক্তিগত গাড়ি নির্মাতারা উত্সাহ পাবে না।
রমেশের প্রশ্নের উত্তরে, গডকড়ি নিজের সম্মতি প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, বর্তমানে ভারতে প্রচুর পরিমাণে পেট্রোল এবং ডিজেল যানবাহন রয়েছে। সেই কারণেই সরকার একটি স্ক্র্যাপিং নীতি চালু করেছে। তিনি আরও বলেন যে, একটি 'পুরানো যান' দ্বারা যে পরিমাণ দূষণ হয় তা চারটি নতুন গাড়ির দূষণের সমান।
গডকড়ি বলেন, আগামী ৩ বছরের মধ্যে ছবিটা বদলে যাবে। সরকার এ বিষয়ে কাজ করছে। কিন্তু কোনও ২০৩৫ জাতীয় সময়সীমা জারি করতে নারাজ তাঁরা। তিনি বলেন, এর ফলে আরও জলঘোলা হতে পারে। তাই এমন কোনও টাইমলাইন স্থির করতে চান না।
বরং তিনি অন্য ব্যাখ্যা দেন। তিনি বলেন, ১৫ লক্ষ টাকার একটি পেট্রোল/ডিজেল গাড়ি চালাতে মাসে ১৫ হাজার টাকার তেল লাগে। এদিকে ১৫ লক্ষ টাকার ইলেকট্রিক গাড়িতে মাসে ২ হাজার টাকার চার্জ দিলেই হয়ে যায়। তার উপর আওয়াজ কম, দূষণ কম।
এর পাশাপাশি গডকড়ি বলেন, ইলেকট্রিক গাড়ির নকশাও আরও দুর্দান্ত হয়ে গিয়েছে। বিএমডব্লিউ, মার্সিডিজের মতো বিলাসবহুল সংস্থাগুলি পর্যন্ত ইলেকট্রিক গাড়ি বানাচ্ছে। সেগুলি দেখতেও সুন্দর।
গডকড়ি আশাবাদী, সময়ের সঙ্গে বৈদ্যুতিক গাড়ির এই সুবিধাগুলি সকলে বুঝতে পারবেন। তখন নিজে থেকেই বৈদ্যুতিক গাড়ির বিক্রি বেড়ে যাবে।