লক্ষ্যবস্তুতে সঠিকভাবে ধাক্কা মারল NASA-র DART। বুধবার ভারতীয় সময় ভোর ৪:৪৪ নাগাদ ডিমরফস গ্রহাণুতে আছড়ে পড়ল নাসার যান। প্রায় ১.১ কোটি কিলোমিটার দূরের এই গ্রহাণুতে ধাক্কা মারার শেষ মুহূর্তের ছবি ধরা পড়েছে DART-এ থাকা DRACO ক্যামেরায়। সেই ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই টুইটারে শেয়ার করেছে নাসা। সেখানে দেখা যাচ্ছে, কীভাবে ঘণ্টায় ২০ হাজার কিলোমিটার বেগে গ্রহাণুতে আছড়ে পড়ছে নাসার এই যান।
গবেষণার স্বার্থেই নাসার এই 'বোমা' মারার পরীক্ষা। গত বছর নভেম্বরে DART মহাকাশযানটি উৎক্ষেপণ করা হয়। ক্যালিফোর্নিয়ার ভ্যানডেনবার্গ এয়ার ফোর্স বেস থেকে স্পেসএক্স ফ্যালকন ৯ রকেটে যাত্রা শুরু করে ডার্ট।
দেখুন ভিডিয়ো:
এই সংঘর্ষের ফলে যদিও গ্রহাণুটি ধ্বংস হবে না। তবে গতিপথ থেকে তাকে সরিয়ে দেওয়া হবে। অন্তত পরিকল্পনা এমনটাই। নাসা আসলে দেখতে চাইছে, এভাবে মহাকাশযান দিয়ে 'ধাক্কা মেরে' কোনও গ্রহাণুর গতিপথ বদলে দেওয়া যায় কিনা। ডিমরফস নামে এই গ্রহাণুটি আসলে একটি বড় গ্রহাণুকে কেন্দ্র করে প্রদক্ষিণ করছে। তার নাম ডিডিমস। অর্থাত্, অনেকটা যেন ডিডিমসের চাঁদ ডিমরফস। এই ধাক্কা মারার মাধ্যমে ডিমরফসের কক্ষপথ সামান্য বদলে দেওয়া হবে।
এই দীর্ঘ যাত্রাপথের কেবলমাত্র শেষ ৫০ মিনিটেই মহাকাশযানটি তার লক্ষ্য বস্তুকে আলাদা করে শনাক্ত করতে পেরেছে। তার আগে পর্যন্ত এটি ডিডিমসের সঙ্গে একে আলাদা করে চেনার উপায় ছিল না। এতটাই বেশি দূরত্ব।
নেভিগেশন সফ্টওয়্যারের মাধ্যমে সেই চিহ্নিতকরণের পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে মহাকাশযানের গতিপথ নিয়ন্ত্রিত হবে। তাই পৃথিবীতে বসে নাসা 'টার্গেট' করে ধাক্কা লাগাবে, এমনটি ভাবার কোনও কারণ নেই। কিন্তু এখান থেকে নিয়ন্ত্রণ না করে সফটওয়্যারে ভরসা কেন? নাসার এই DART মিশন সম্পর্কে আরও জানতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।