একটি সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওশেনগেটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা জানিয়েছেন যে তিনি আরও একটি দুঃসাহসিক অভিযান শুরু করতে চলেছেন। তিনি বলেছেন যে ২০৫০ সালের মধ্যে শুক্রের বায়ুমণ্ডলে বসবাসের জন্য প্রায় ১,০০০ জন মানুষকে পাঠাতে চলেছেন।
(আরও পড়ুন: আগামী বছর চড়বেন নাকি টাইটান সাবমেরিনে? এখনও জ্বলজ্বল করছে বিজ্ঞাপন)
গুইলারমো সোহেনলেইন ২০০৯ সালে স্টকটন রাশ-এর সহযোগিতায় ওশেনগেটের প্রতিষ্ঠা করেন। যদিও ২০১৩ সালে তিনি সংস্থা ছেড়ে দেন। বর্তমানে তিনি হিউম্যান টু ভেনাসের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান। তার লিঙ্কডইনের প্রোফাইল থেকে জানা গেছে যে তিনি শুক্র গ্রহের বায়ুমণ্ডলে একটি স্থায়ী মানুষের বসতি গড়ে তোলার উপর ব্যক্তিগত উদ্যোগে কাজ শুরু করতে চলেছেন।
(আরও পড়ুন: Titan Recue Mission: বিমান দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে ফিরেছিলেন শাহজাদা, টাইটনে শেষরক্ষা হল না)
শুক্র সূর্যের খুব কাছের গ্রহ হওয়ার জন্য এখানের তাপমাত্রা অনেকটাই বেশি এছাড়া শুক্র গ্রহের বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণও বেশি। এছাড়া আর একটি সমস্যা হল অ্যাসিড বৃষ্টি । যদিও গুইলারমো এই সকল সমস্যাগুলি সমাধান সম্ভব বলে জানিয়েছেন। তিনি আশাবাদী যে সঠিক বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির সাহায্যে, শুক্র গ্রহে একটি ভাসমান বসবাসের জায়গা তৈরী করা সম্ভব। তিনি আরও বলেন যে তার মতে ২০৫০ সালের মধ্যে মঙ্গল গ্রহে ১০ লক্ষ মানুষের বসতি স্থাপনের চেয়েও শুক্র গ্রহে বসতি স্থাপন অনেক সহজ। তিনি বর্তমানে ঘটে যাওয়া ওশেনগেটের টাইটানের মর্মান্তিক দুর্ঘটনার কথা ভুলে যেতে অনুরোধ করেছেন।
তিনি জানিয়েছেন ওশেনগেটের মতো হিউম্যান টু ভেনাসও বেসরকারিভাবে পরিচালিত হবে এবং এর উদ্দেশ্য হবে খুব সস্তায় মহাকাশকে পাড়ি দেওয়া। শুক্র গ্রহের বায়ুমণ্ডলে কঠোর পরিস্থিতি সহ্য করতে সক্ষম একটি স্পেস স্টেশন ডিজাইন করার মাধ্যমে গুইলারমো শুক্রগ্রহে মানুষের বসবাসের স্বপ্নকে রূপায়িত করতে চলেছেন।পৃথিবীর বাইরে মানুষের বসতি স্থাপন গুইলারমোর শৈশবকালের স্বপ্ন। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা, সময় জানিয়ে দেবে গুইলারমোর তার স্বপ্ন পূরণ করতে পারবেন কি পারবেন না।