বাংলা নিউজ > টেকটক > Samsung Electronics: ঘুষ কাণ্ডে জেল থেকে মুক্তির ১ বছর পর স্যামসংয়ের এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান পদে জে ওয়াই লি

Samsung Electronics: ঘুষ কাণ্ডে জেল থেকে মুক্তির ১ বছর পর স্যামসংয়ের এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান পদে জে ওয়াই লি

জে ওয়াই লি।

স্যামসংয়ের এককালের চেয়ারম্যান লি কুন হি হার্ট অ্যাটাকের পর ২০১৪ সালে কোমায় আক্রান্ত হয়ে পড়েন। পরবর্তীকালে ২০২০ সালে তাঁর মৃত্যু হয়। লি কুন হি কোমায় থাকাকালীন অবস্থাতেই ব্যবসার হাল ধরেন তাঁর ছেলে জে ওয়াই লি। তিনিই লি কুন হিএর বড় ছেলে।

ঘুষকাণ্ডে জেল থেকে মুক্তির এক বছরের মধ্যেই প্রযুক্তি সংস্থা 'স্যামসং' এক এক্জিকিউটিভ চেয়ারম্যান হলেন জে ওয়াই লি। স্যামসংয়ের তরফে জানানো হয়েছে, সংস্থার বোর্ড অফ ডিরেক্টররা এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে যেভাবে বিপন্ন হয়ে পড়ছে স্যামসংয়ের ব্যবসায়িক বিভিন্ন দিক, সেই জায়গা থেকে লিকে সামনে রেখে স্যামসং এগোতে চাইছে বলে মনে করা হচ্ছে।

স্যামসংয়ের এককালের চেয়ারম্যান লি কুন হি হার্ট অ্যাটাকের পর ২০১৪ সালে কোমায় আক্রান্ত হয়ে পড়েন। পরবর্তীকালে ২০২০ সালে তাঁর মৃত্যু হয়। লি কুন হি কোমায় থাকাকালীন অবস্থাতেই ব্যবসার হাল ধরেন তাঁর ছেলে জে ওয়াই লি। তিনিই লি কুন হিএর বড় ছেলে।  উল্লেখ্য, ২০১২ সাল থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার সবচেয়ে বড় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান হিসাবে স্যামসংয়ের নাম উঠে এসেছে। সেখানে জে ওয়াই লি একটি বড়সড় নাম। বাবার অসুস্থতার পর থেকে তিনিই স্যামসংকে এক নতুন মাইলস্টোনে পৌঁছে দেন। তিনি ছিলেন স্যামসংয়ের ভাইস চেয়ারম্যান। অনেকেই স্যামসং সংস্থার একছত্র মালিক হিসাবে তাঁকে চিনেছে। উল্লেখ্য, জে ওয়াই লির হাত ধরে স্যামসং তার তৃতীয় প্রজন্মের কর্তাকে পেয়েছে। এর আগে লিয়ের পরিবারের দুই প্রজন্ম ছিল এই সংস্থার কর্ণধার। তৃতীয় প্রজন্মে স্যামসংকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কঠিন দায়িত্ব রয়েছে লিয়ের হাতে।

স্যামসং সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন লি বাং চুল। তাঁর মৃত্যুর পর লি কুন হি এই সংস্থার কর্তা হন। পরবর্তী কালে লি কুন হির বড় ছেলে জে ওয়াই লি এই সংস্থার কর্তা হিসাবে বিবেচিত হন। উল্লেখ্য,  জে ওয়াই লিয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি ঘুষ নিয়েছিলেন। বহু আর্থিক দুর্নীতি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন, এছাড়াও কিছু আর্থিক কারচুপির অভিযোগও তাঁর বিরুদ্ধে ছিল। তাঁর বিরুদ্ধে ৪,৯৪৩ লাখ টাকার আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এদিকে, বর্তমানে স্যামসং বিভিন্ন ব্যবসায়িক কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়ে রয়েছে। বিশ্ব জুড়ে চাহিদা কমেছে স্যামসংয়ের পণ্যের। এদিকে, সুদের হারের বৃদ্ধি ও মুদ্রাস্ফিতীও সংস্থায় প্রভাব ফেলেছে, ফলে সেই জায়গা থেকে স্যামসংয়ের নতুন এক্জিকিউটিভ চেয়ারম্যানের সামনে রয়েছে কঠিন চ্যালেঞ্জ।   

 

 

 

 

 

 

 

 

 

বন্ধ করুন