এক জীবনে প্রচুর ধন প্রাপ্তি খুবই কঠিন ব্যাপার, অনেকে হয়তো এটি মনে করেন। তবে কথাটি সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা নয়। ভারতীয় বৈদিক জ্যোতিষ শাস্ত্রে ‘ধনযোগ’ নামে একটি বিষয় বর্তমান। কোনও জাতক বা জাতিকার জন্মছকে দ্বিতীয়, পঞ্চম, নবম এবং একাদশ স্থানে যদি নিজ অধিপতিরা বিরাজমান হন, তবে ধনযোগ সৃষ্টি হয়। পরিণামে জাতক-জাতিকার জীবনে প্রচুর অর্থ প্রাপ্তির যোগ থাকে।
জন্মছক অনুসারে ধনযোগ সম্বন্ধে আলোচনা করা হল:
কোন জাতক বা জাতিকার জন্ম ছকের প্রথম স্থানটি তার জন্ম লগ্ন কে নির্দেশ করে থাকে। জন্ম ছকের দ্বিতীয় স্থান জাতক-জাতিকার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এই স্থান অর্থসংক্রান্ত সকল বিষয় এবং ধনাগম কে বর্ণনা করে। জাতক জাতিকার ফাটকায় কতটা অর্থাগম হবে, তা নির্ণয় করা হয় জন্ম ছকের পঞ্চম স্থান থেকে। ধর্ম, এবং আধ্যাত্মিকতায় সাফল্য সংক্রান্ত তথ্যাবলী জানা যায় জন্ম ছকের নবম স্থান থেকে। জন্ম ছকের একাদশ স্থানটির মাধ্যমে জানা যায় যে, সে তার জীবনে কতটা ধনলাভ করবে। তাছাড়া পূর্বজন্মের কর্মফলের উপরেও জাতক-জাতিকার ধনযোগ নির্ভর করে থাকে।
বৃহস্পতির সঙ্গে রাহু কেতুর অবস্থানের ফলে ধনযোগের কিছু বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যায়।
১. ধনাধিপতি ষষ্ঠ, অষ্টম এবং দ্বাদশ স্থানে থাকলে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় তাছাড়া এই ক্ষেত্রে জন্ম ছকে বৃহস্পতির শক্তিশালী হওয়া প্রয়োজন, তিনিই জাতক-জাতিকার ধনলাভ সুনিশ্চিত করেন। যদি রাহুর দৃষ্টি অষ্টম বা দ্বাদশ স্থানে বৃহস্পতি পায়, তবে আরো বেশি আর্থিক ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে।
২. লগ্ন স্বামী যদি শক্তিশালী হয় তবেই ধনযোগের সৃষ্টি হবে। লগ্নাধিপতির সঙ্গে জন্মকুণ্ডলীর অন্য কক্ষাধিপতিদের সম্পর্কও জাতক-জাতিকার ধনাগমের বিষয়টিকে আরও বিশেষভাবে প্রভাবিত করে। কেতু বৃহস্পতির সাথে যদি সঠিক ডিগ্রী অনুসারে সহাবস্থান করে তবে অর্থপ্রাপ্তি ঘটতে পারে।
৩. বৃহস্পতি যদি অতি মাত্রায় সক্রিয় থাকেন , জন্ম ছকের কেন্দ্রে অবস্থান করেন এবং অথবা অন্য কোন গ্রহের কুদৃষ্টি তার উপর না থাকে তবে জাতক-জাতিকার প্রভূত ধনলাভ হয়, জাতক জাতিকার সৌভাগ্য চিরস্থায়ী হয়ে থাকে। তাকে কখনো অর্থকষ্টে পড়তে হয় না।
বিশেষজ্ঞ: মনোজিৎ দে সরকার
যোগাযোগ: 9038642653