রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে শুধু আদালত নির্ভরতা নয়, নিয়মিত পথে নামার কর্মসূচি নেওয়া হোক— নবান্ন অভিযানের ’সাফল্য’ দেখিয়ে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বকে এমনই বার্তা দিলেন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দল।
রবিরার কলকাতায় এসেছেন রাজ্যের পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে থাকা নেতারা। প্রথম বার রাজ্যের মাটিতে পা রেখেছেন সদ্য পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পাওয়া মঙ্গল পান্ডে এবং সহপর্যবেক্ষক আশা লকড়া। বিমান বন্দরে নেমেই তাঁরা দু’টি ভাগে সোজা চলে যান আহত কর্মীদের দেখতে। বিধাননগর ও রাজারহাট নিউটাউন এলাকায় গিয়ে কর্মীদের সঙ্গে দেখা করে আশা লকড়া। অন্য দিকে পানিহাটি, উত্তর দমদম ও দমদম এলাকার কর্মীদের দেখতে যান মঙ্গল।
তাঁদের স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, অগ্নিমিত্রা পাল, রাহুল সিনহা সহ অন্যান্য নেতারা। দলীয় উত্তরীয় পরিয়ে, ঢাক বাজিয়ে, পুষ্প স্তবক দিয়ে তাঁদের স্বাগত জানানো হয়।
আহত বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের মনে আস্থা জোগান কেন্দ্রীয় নেতারা। তাঁরা বলেন, নবান্ন অভিযান দলের কর্মী-সমর্থকদের সেই আন্দোলন যা কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব দেখছেন। এই আন্দোলনের মাধ্যমে রাজ্য সরকারকে দেখিয়ে দেওয়া গিয়েছে বিজেপির শক্তি কতটা।
রাজ্য নেতৃত্বে তাঁরা পরামর্শ দেন এই আন্দোলনের রেশ জারি রাখতে। আহত কর্মীদের বাড়িতে যাওয়ার পিছনেও তাঁদের মূল উদ্দেশ্য আন্দোলনের আঁচকে জাগিয়ে রাখা।
এই বিষয়টি নিয়েই রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে রবি ও সোমবার কলকাতার ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশনস’ (আইসিসিআর)-এর সভাকক্ষে বৈঠক করবেন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সুনীল বনশল, পূর্ণ সময়ের পর্যবেক্ষক মঙ্গল পান্ডে ও দুই সহপর্যবেক্ষক আশা লকড়া এবং অমিত মালব্য।
বিজেপি সূত্রে খবর, তাঁরা মূলত নবান্ন অভিযানের রেশ ধরে আন্দোলন জারি রাখার উপরেই জোর দেবেন তাঁরা। পাশাপাশি আদালতেও চলবে বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে লড়াই। দু’টি যেন হয়ে ওঠে একে অপরের পরিপূরক তেমনই বার্তা দিতে চান কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। নবান্ন অভিযানে ’শান্তিপূর্ণ’ মিছিলে কেন হামলা হল, তা নিয়ে আইনি লড়াই শুরু করতে চাইছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।