পদ থেকে ইস্তফা দিলেন ৪ জন বিজেপি নেতা। প্রতীকী ছবি
পঞ্চায়েত ভোটের আগে অস্বস্তি বাড়ল বিজেপির। পদ ছাড়লেন দলের চার নেতা নেত্রী। দলের নেতৃত্বদের তৃণমূলের আঁতাত রয়েছে এই অভিযোগ তুলে উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরের বিজেপির যুব ও মহিলা মোর্চার ৪ নেতা ও নেত্রী পদ ছেড়েছেন। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে পদ ছাড়ার ফলে স্বাভাবিকভাবেই অসস্তিতে বিজেপি। যদিও দলের শীর্ষ নেতারা এ বিষয়টিতে বিশেষ গুরুত্ব দিতে রাজি নন। তবে এ নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল।
এই চার নেতা হলেন অশোকনগরের কল্যাণগড় মণ্ডলের বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি শুভম রায়, যুব মোর্চার নেতা পলাশ মণ্ডল, বারাসত সাংগঠনিক জেলার বিজেপির মহিলা মোর্চার সাধারণ সম্পাদক, শম্পা ঘোষ ও মহিলা মোর্চার সদস্য, ডলি দে। ফেসবুকে তাঁরা পদত্যাগ পত্র পোস্ট করেছেন। তাঁরা বিজেপির বারাসত সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ও অশোকনগর মণ্ডলের সভাপতির বিরুদ্ধে তৃণমূলে সঙ্গে আঁতাত থাকার অভিযোগ তুলেছেন। শুভম রায়ের বক্তব্য, দলের নেতৃত্ব কোনও কাজ করে না। তৃণমূলের সঙ্গে সেটিং করে চলছে। সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। অথচ স্থানীয় স্তরে কোনও কর্মসূচি নেই।’
অভিযোগ, অশোকনগরের তৃণমূল বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামীর সঙ্গে মণ্ডল সভাপতির আঁতাত রয়েছে। তাঁদের আরও অভিযোগ, কাজ করতে গেলে দল থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এখন আবাস যোজনা নিয়ে দুর্নীতি চলছে অথচ সেই নিয়ে কোনও কর্মসূচি করতে দেওয়া হচ্ছে না। পাশাপাশি বারাসাত সাংগঠনিক জেলা সভাপতির বিরুদ্ধেও অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা।
যদিও বারাসত সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি তাপস মিত্র বলেন, ওই ইস্তফায় দলের কিছু এসে যায় না। এ বিষয়ে বিজেপিকে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল নেতা তথা কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, ‘বাংলায় কিছুদিন পর আর বিজেপিকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। কেউ বিজেপি করবে না। কারণ এই দলের কোনও নীতি বা আদর্শ নেই। এরা শুধু সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিয়ে থাকে।’