বিশ্বকর্মার পুজো দিন হাতিপুজো সেরে শুরু হয়েছে উত্তরবঙ্গ পর্যটন। তার ঠিক পর দিন খেল দেখালো গজরাজ। রাস্তা মাঝাখানে আড়়াআড়ি ভাবে দাঁড়িয়ে রইল প্রায় ৪০ মিনিট। আর তাতে অবরুদ্ধ হয়ে রইল বিক্রমপুর-গড়বেতা রোড।
ঠায় ৪০ মিনিট ধরে দাঁড়িয়ে কখনও রাস্তার এদিক-ওদিক করতে থাকে হাতিটি। আর তাতেই বন্ধ হয়ে থাকে যান চলাচল। সাত সকালে এই ধরনের ঘটনায় বন দফতরের ভূমিকা নিয়ে ক্ষব্ধ গাড়ি চালক থেকে যাত্রীরা। এক গাড়ি চালক বলেন,'বিক্রমপুর-গড়বেতা রোডের উপর গাড়ি নিয়ে যেতে গিয়ে দেখি একটি হাতি রাস্তা উপর দাড়িয়ে। বিপদের আশঙ্কায় দূরেই গাড়ি দাঁড় করিয়ে দিই। তার পর প্রায় চল্লিশ মিনিট ধরে দাঁড়িয়ে থাকে হাতিটি। ফলে আমার যেতে পারিনি।'
জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকদিন ধরে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার রূপনারায়ণপুর বিভাগে রয়েছে একটি হাতির দল। সেই দলের মধ্যে থেকে একটি হাতি ছিটকে যায়। সোমবার রাতে ঢুকে পড়ে সারেঙ্গা রেঞ্জের দুবরাজপুর বিটের জঙ্গলে। সকালে হাতিটি জঙ্গল ছেড়ে চাষের জমিতে ঢুকে পড়ে। কয়েকটি সবজির জমি তছনছ করে। তার পর সে বিক্রমপুর-গড়বেতার রাস্তায় গিয়ে দাঁড়ায়। ওই ভাবে রাস্তায় হাতি দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে আতঙ্ক তৈরি হয় চালকদের মধ্যে। গাড়ি থামিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকেন অপেক্ষা করতে থাকেন। চল্লিশ মিনিট ধরে চলে সেই অপেক্ষা। তার পর হাতিটি নিয়েই পাশের জঙ্গলে চলে যায়। হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন চালকরা। স্বাভাবিক হয় গাড়ি চলাচল।
(পড়তে পারেন। রাত থেকেই বাতিল একাধিক ট্রেন, কুর্মি আন্দোলনের আঁচ আবার রেলপথে, বড় ভোগান্তি!)
এই ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বন দফতরের উপরে। প্রায়শই হাতি ঢুকে ক্ষেতের জমি তছনছ করে দিচ্ছে। বিপুল ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে কৃষকরা। কিন্ত বন দফতরে এ নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করছে না। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ সোমবার এলাকায় হাতি ঢুকে যাওয়া খবর পৌঁছয়। তা সত্ত্বে বন দফতরের কর্মীদের কোন দেখা নেই। ফলে বিক্রমপুর-গড়বেতায় ৪০ মিনিট ধরে হয়রানির শিকার হতে হল গাড়িচালকদের।
আটদিন আগেই হাতির তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত ঝাড়গ্রামের সাঁকরাইল ব্লকের পালইডাঙ্গা -জামবেদিয়া কৃষকরা রাস্তায় শুয়ে পড়ে বিক্ষোভ দেখান।
এই ঘটনায় স্থানীয় এক বাসিন্দা ব্যঙ্গ করে বলেন, ‘কোন দাবি নিয়ে হয়তে রাস্তা অবরোধ করেছিল হাতিটি। ৪০ মিনিট ধরে প্রশাসনের দেখা না পেয়ে নিজেই রণের ভঙ্গ দিয়ে জঙ্গলে গিয়েছে। ’