আদালতের নির্দেশ ছিল কোন বিএড কলেজগুলি অনুমোদন নেই, আর কোনগুলির আছে তা বিজ্ঞাপন দিয়ে জানাতে। সেই নির্দেশ মেনে মঙ্গলবারই বিজ্ঞাপন দিয়েছে বাবা সাহেব আম্বেদকর এডুকেশন বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে দেখা যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন পায়নি ৯৬টি বেসরকারি বিএড কলেজ। এর ফলে ২০ হাজার পড়ুয়ার ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মুখে চলে গেল। একই সঙ্গে অনিশ্চয়তার মুখে পড়লেন ওই সব বিএড কলেজে কর্মরত শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীরা।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে বলা হয়েছিল পরিকাঠামো জনিত সমস্যার কারণে ২৫৩টি বিএড কলেজ অনুমোদন পায়নি। এর ফলে কলেজগুলির মালিক সংগঠন আদালতের দ্বারস্থ হয়। মামলার প্রেক্ষিতে বেশ কয়েকটি কলেজকে ধাপে ধাপে অনুমোদন দেওয়া হয়। আদালত নির্দেশ দেয় কাদের অনুমোদন দেওয়া হয়নি তা বিজ্ঞাপন দিয়ে জানাতে । সেই মতো বিজ্ঞাপন দিয়ে আম্বেদকর বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে, ৫২৮টি কলেজকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। শিক্ষকদের সংখ্যা, তাঁদের প্রাপ্ত বেতন ও পরিকাঠামো বিচার করে তবেই অনুমোদন দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন। স্যার আমায় বাঁচান! জোর করে বিয়ে দিয়ে দিচ্ছে, হেডমাস্টারকে ফোন বাংলার কন্যাশ্রীর
অনেক ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, ফায়ার লাইসেন্স সার্টিফিকেট বা অগ্নি নির্বাপক শংসাপত্র আছে বলে দাবি করেছে কর্তৃপক্ষ। অথচ বাস্তবে দেখা গিয়েছে তা নেই। শুধু এই নয়, ইউজিসি-র বিধি মেনে, ব্যাঙ্ক অ্য়াকাউন্টে শিক্ষকদের বেতন দেওয়ার কথা। কিন্তু সেই নিয়মও অনেক বিএড কলেজ মানেনি।
আরও পড়ুন। এল মঙ্গলবার্তা, ফের কাজ করছে অনেকের 'নিষ্ক্রিয়' আধার, তবে মিটছে না বিতর্ক
তবে অনুমোদন খারিজ হয়ে যাওয়া বিএড বিশ্ববিদ্যালয়গুলি জানিয়েছে, তারা এখনও আশাবাদী যে আবার তাঁর অনুমোদন পবেন।
নতুন বছরে পড়ুয়া ভর্তি নয়
তবে যে কলেজগুলিকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে সেগুলি এই বছর আর পড়ুয়া ভর্তি করতে পারবে না। পাঁচ মাস আগেই যেহেতু ভর্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে, তাই নতুন করে আর কাউকে ভর্তি করা যাবে না।
যে ৯৬টি কলেজের অনুমোদন বাতিল করা হয়েছে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন সেখানকার পড়ুয়ারা। কলেজ যদি পরে অনুমোদন না পায় তবে তাঁরা আরও বিপাকে পড়বেন। যদিও এ নিয়ে এখনও মুখ খোলেননি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোমা মুখোপাধ্যায়।