এর আগে একটি জাহাজ হলদিয়া ডক কমপ্লেক্সে সর্বোচ্চ প্রায় ৪৪ হাজার মেট্রিক টন পণ্য নিয়ে ঢুকেছিল জাহাজ। সব কিছু ছাপিয়ে এবার এসে পৌঁছল ৪৮ হাজার মেট্রিক টন পণ্য। হলদিয়া ডক কমপ্লেক্সে এত পণ্য নিয়ে এই প্রথম কোনও জাহাজ পৌঁছল। বৃহস্পতিবার হলদিয়া ডক কমপ্লেক্সে এসে পৌঁছয় বিশালাকার এই পণ্যবাহী জাহাজ। এই জাহাজটির নাম এম টি ক্লিয়ার ওশান অ্য়াজাক্স। জাহাজটি হলদিয়া অয়েল জেটি-৩ নম্বরে এসে নোঙর করে। এর আগে বিশালাকার কেপ সাইজ জাহাজ হলদিয়া বন্দরের কাছাকাছি আসলেও তা ঢুকতে পারেনি। তবে জাহাজে এত পরিমাণ পণ্য নিয়ে সাম্প্রতিক সময় এই প্রথম বড় জাহাজ ঢুকল হলদিয়া বন্দরে।
আরও পড়ুন: Haldia: ভারত প্রথমবার নৌপথে ন্যাপথা পাঠাল বাংলাদেশে, অটুট রক্তঋণের সম্পর্ক
বন্দর সূত্রের খবর, ২০১৭ সালে স্যানমার সনেট নামে একটি জাহাজ হলদিয়া বন্দরে ঢুকেছিল। সেই জাহাজে ৪৪ হাজার ৮৮ মেট্রিক টন ন্যাপথা ছিল। আর এ দিন যে জাহাজটি হলদিয়ায় এসে পৌঁছেছে তাতে রয়েছে ৪৮ হাজার ১১১ মেট্রিক টন ন্যাপথা। জানা গিয়েছে, জাহাজটি ২০১৯ সালে তৈরি। নিজের সমতুল্য পণ্যবাহী জাহাজগুলির মধ্যে অন্যতম বৃহত্তম হল এই জাহাজ। মোট ২২ জন ক্রু সদস্য রয়েছেন এই জাহাজে। বিশালাকার জাহাজটি কুয়েতের মিনা আল আহমেদিয়া বন্দর থেকে রওনা দিয়েছিল। জাহাজে মোট ন্যাপথা ছিল ৮২ হাজার ২৭১ টন। যার মধ্যে ৩৪ হাজার ১৬০ মেট্রিক টন ন্যাপথা অন্ধপ্রদেশের বিশাখাপত্তনম বন্দরে খালাস করেছে। বাকি পণ্য নিয়ে জাহাজটি হলদিয়া বন্দরে পৌঁছয়। উল্লেখ্য, হলদিয়া ডক কমপ্লেক্সটি কলকাতা শ্যামাপ্রসাদ বন্দরের অন্তর্গত। ভারী পণ্যবাহী জাহাজ সেখানে প্রবেশে সফল হওয়ায় প্রমাণিত হলো শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বন্দরও ভারী পণ্যবাহী জাহাজ সামাল দিতে সক্ষম।
উল্লেখ্য, হলদিয়া ডক কমপ্লেক্সের নাব্যতা হল ৮.৭ মিটার। তার মধ্যেও হলদিয়াতে বিশালাকার জাহাজ প্রবেশ যথেষ্ট প্রশংসনীয় বলে মনে করছেন আধিকারিকরা।যদিও এর আগে গত বছর বিশালাকার কেপ সাইজ জাহাজ এসেছিল হলদিয়া বন্দরের কাছে। তবে সেটি বন্দরে প্রবেশ করতে পারেনি। বিশাল আকৃতির ওই জাহাজের নাম এম ভি মিনেরাল ইয়াঙ্গফান।
আমেরিকা থেকে হলদিয়া বন্দরের কাছে এসে পৌঁছেছিল বিশ্বের বৃহত্তম ড্রাইবাল্ক ক্লাসের সেই জাহাজ। ৭০ হাজার ৩০০ টন কয়লা নিয়ে সুদুর আমেরিকা থেকে পৌঁছয় ওই বিশাল জাহাজ। হলদিয়া বন্দরের কাছাকাছি আসা এটিই এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বড় জাহাজ।আকার বিশাল হওয়ায় বন্দরে প্রবেশ করতে পারেনি এই জাহাজ। ফলে সমুদ্রের মাঝেই নিরাপত্তার সঙ্গে এই বিশাল জাহাজটি নোঙর করে । তারপরে ভাসমান ক্রেনের সাহায্যে কয়লা নামিয়ে বার্জে রাখা হয়। ওই জাহাজটি লম্বায় ছিল ৩০০ মিটার এবং প্রায় ৯০ মিটার চওড়া।