আইন সবার জন্য সমান। সে তিনি যেই হন। এবার এমনই নজির দেখা গেল দেগঙ্গা থানা এলাকায়। এখানে এক পুলিশকর্মীকে টানতে টানতে গাড়িতে তোলা হল। সেটা করলেন আরও কিছু পুলিশকর্মী। এমনকী তাঁকে আটক করল পুলিশ। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট পুলিশকর্মী মুখে মাস্ক না পরায় এই আটক করা হয়েছে। তবে এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতে মানুষ বেশি সচেতন হবেন বলেও মনে করা হচ্ছে।
কেন এমন কড়াকড়ি? জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, গোটা রাজ্যজুড়েই করোনাভাইরাস দাপট দেখাচ্ছে। এমনকী রাজ্যজুড়ে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত কার্যকর হয়েছে বিধিনিষেধ। আর দেগঙ্গায় কড়া নির্দেশিকা জারি হয়েছে, মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) থেকে। সপ্তাহে দু’দিন করে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মোট ৭ দিন এলাকায় সমস্ত দোকানপাট–বাজার বন্ধ থাকবে। সেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন।
জানা গিয়েছে, এখানে করোনাভাইরাসের বাড়বাড়ন্ত দেখা গিয়েছিল। তাই মাঠে নেমে পড়ে পুলিশ–প্রশাসন। সেই প্রেক্ষিতে সোমবার দেগঙ্গার এসডিপিও সৌমজিৎ বড়ুয়া এবং আইসি অজয়কুমার সিং পুলিশবাহিনী নিয়ে রাস্তার মোড়ে মানুষকে মাইকিং করে সচেতন করছিলেন। প্রচার করছিলেন মাস্ক পরতে হবে। শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বেরোবেন না–সহ নানা কথা। এখানে উপস্থিত ছিলেন দেগঙ্গা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি আনিসুর রহমান।
ঠিক কী ঘটেছে দেগঙ্গায়? এই প্রচার কর্মসূচি চলার সময় এক পুলিশকর্মী সাধারণ পোশাকে তাঁর স্ত্রীকে মোটরবাইকে করে যাচ্ছিলেন। তাও আবার মাস্কবিহীন অবস্থায় বলে অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে থানার আইসি অজয়কুমার ওই মাস্কহীন পুলিশকে দাঁড় করিয়ে দেন বলে অভিযোগ। তারপর মাস্ক কোথায়? কেন পরেননি? জানতে চাওয়া হয়। তখন নিজের পরিচয় দিয়ে বচসা জুড়ে দেন ওই পুলিশকর্মী বলে অভিযোগ। তখনই তাঁকে টানতে টানতে পুলিশের গাড়িতে তোলা হয় বলে অভিযোগ। ওই পুলিশকর্মী রাজ্যের এক মন্ত্রীর নিরাপত্তারক্ষীর দায়িত্বে রয়েছেন।