বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > Rhino cub: পেটে কাদা ও বালি ঢোকার ফলে মৃত্যু হল নদী থেকে উদ্ধার হওয়া গন্ডার শাবকের

Rhino cub: পেটে কাদা ও বালি ঢোকার ফলে মৃত্যু হল নদী থেকে উদ্ধার হওয়া গন্ডার শাবকের

গন্ডার শাবক। ফাইল ছবি টুইটার।

উদ্ধার হওয়া শাবকটিকে গুঁড়ো দুধ এবং ওআরএস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শাবকটি কিছুই খেতে পারোনি। এর কারণ হিসেবে বনকর্মীদের অনুমান পেটে যন্ত্রণা থাকার কারণে শাবকটি কিছুই খেতে পারেনি। ফলে মায়ের দুধ না পাওয়ার পাশাপাশি যন্ত্রণার কারণে শাবক্যের মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করছেন আধিকারিকরা।

নদী থেকে উদ্ধার হওয়া সেই গন্ডার শাবকের মৃত্যু হল। গত বৃহস্পতিবার গরুমারায় গরাতি নদী থেকে গন্ডার শাবকটিকে উদ্ধার করেছিলেন বনকর্মীরা। ২০ দিন বয়সি এই শাবককে তার মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টাও করেছিলেন। কিন্তু শেষে মায়ের খোঁজ না পেয়ে শাবকটিকে নিয়ে আসা হয় জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে। রবিবার সেখানেই মৃত্যু হয় গন্ডারের শাবকটির।  প্রাথমিকভাবে বন বিভাগের অনুমান, এই শাবকটি অনেক বেশি পরিমাণে বালি এবং কাঁদা খেয়ে ফেলেছিল। সেই কারণেই তার অন্ত্রে সংক্রমণ দেখা দিয়েছিল। যার ফলে তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। দেহ ময়নাতদন্ত করে পেট থেকে প্রচুর পরিমাণে বালি ও কাদা উদ্ধার হয়েছে।

আরও পড়ুন: এলাকা দখল নিয়ে ২ গণ্ডারের লড়াইয়ের মধ্যে সাফারি কার! জলদাপাড়ায় আহত ৪

জানা গিয়েছে, উদ্ধার হওয়া শাবকটিকে গুঁড়ো দুধ এবং ওআরএস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শাবকটি কিছুই খেতে পারোনি। এর কারণ হিসেবে বনকর্মীদের অনুমান পেটে যন্ত্রণা থাকার কারণে শাবকটি কিছুই খেতে পারেনি। ফলে মায়ের দুধ না পাওয়ার পাশাপাশি যন্ত্রণার কারণে শাবক্যের মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করছেন আধিকারিকরা।

উত্তরবঙ্গের বন্যপ্রাণ শাখার মুখ্য বনপাল রাজেন্দ্র জাকর জানান, ‘গন্ডার শাবকটি নদীতে পড়ে গিয়েছিল তখন প্রচুর পরিমাণে বালি এবং কাদা খেয়ে ফেলেছিল। গন্ডার শাবকের অন্ত্রে সংক্রমণের কারণেই মৃত্যু হয়েছে। আমরা চেষ্টা চালিয়েও ব্যর্থ হয়েছি।’ তবে কীভাবে শাবকে নদীতে পড়ে গেল তা নিয়ে ইতিমধ্যে অনেকেই অনেক মত পোষণ করছেন। এই বিষয়ে মুখ্য বনপালের দাবি, সাধারণত প্রজননের মরশুমে কোনও পুরুষ গন্ডার মাদিকে পছন্দ করলে একপ্রকার জোর করে সঙ্গমে বাধ্য করে। সেক্ষেত্রে মাদি রাজি না থাকলে বা মাদির শাবক থাকলে সেই শাবকের উপর প্রাণঘাতী হামলা চালায় পুরুষ গন্ডাররা। ফলে এক্ষেত্রেও ওই শবকের উপর পুরুষ গন্ডার হামলা চালিয়ে থাকতে পারে বলে মনে করছেন তিনি।

প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৮ সালে একইভাবে একটি মা হারা গন্ডার শাবককে উদ্ধার করেছিলেন বনকর্মীরা। পরে তাকে সুস্থ করে পাঠানো হয় কলকাতার আলিপুর চিড়িয়াখানায়। বর্তমানে সেখানে বেড়ে উঠেছে সেই গন্ডার। ওই গন্ডারের নাম রাখা হয়েছে জলদাপ্রসাদ। এখন চিড়িয়াখানাতেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এই গন্ডার। বৃহস্পতিবার গরু মারায় উদ্ধার হওয়া গন্ডার শাবকটিকে নিয়ে এরকম চিন্তা ভাবনা করছিলেন বন আধিকারিকরা। তারা ভেবেছিলেন শাবকটিকে সুস্থ করার পর পুনর্বাসন করা হবে। তার জন্য তারা চেষ্টাও করছিলেন। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত শাবককে বাঁচানো সম্ভব হল না।

 

 

বন্ধ করুন