যৌন নির্যাতনের শিকার হলেন এক গৃহবধূ। যৌনাঙ্গে লঙ্কা গুঁড়ো লাগিয়ে ঢুকিয়ে পাশবিক নির্যাতন করা হল গৃহবধূর উপর। এমনই অভিযোগ উঠল হুগলিতে। অভিযোগের তির শ্বশুর শাশুড়ির দিকে। ইতিমধ্যে ওই শ্বশুর, শাশুড়ির বিরুদ্ধে হুগলির চণ্ডীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই গৃহবধূর উপর অত্যাচার চালিয়ে আসছে তাঁর শ্বশুর ও শাশুড়ি। পুলিশের কাছে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দু'তিন আগেই গৃহবধূ তুলসী দত্তকে ঝাঁটা ও শাবল দিয়ে বেধড়ক মারধর করেন শাশুড়ি জয়ন্তী। তুলসীর খুড়তুতো শাশুড়ি এর প্রতিবাদ করলে তাঁকেও মারধর করেন জয়ন্তী। এখানেই থেমে থাকেননি তিনি, তুলসীর যৌনাঙ্গে লঙ্কার গুঁড়ো ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনার কথা তুলসীর খুড়তুড়ো শাশুড়ি তাঁর স্বামীকে শ্রীদামকে জানান। এরপর শ্রীদাম পুরো ঘটনাটি প্রতিবেশীদের জানালে আশেপাশের বাসিন্দারা চড়াও হয় তুলসীর বাড়িতে। বাড়িতে ঢুকে অভিযুক্ত শ্বশুর দুলাল মান্না ও শাশুড়ি জয়ন্তী মান্নাকে মারধর করে বের করে নিয়ে আসে প্রতিবেশীরা। এরপর চণ্ডীপুর থানার পুলিশকে অভিযুক্তদের তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। দুলাল ও জয়ন্তী ছাড়াও তাঁদের এক পারিবারিক বন্ধু নিমাই রায়কে আটক করেছে পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, অনেক সময় নিমাইকেও তুলসীর ঘরে ঢুকিয়ে অত্যাচার চালানো হত।
স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশের কাছে আরও জানিয়েছেন, গত ৮ মাস আগে গৌতম মান্নার সঙ্গে তুলসীর বিয়ের পর থেকেই পণের দাবিতে তুলসীর উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালাতেন দুলাল ও জয়ন্তী। সম্প্রতি সেটা চরমে উঠেছিল। বৌয়ের ওপর অত্যাচার হচ্ছে জেনেও তার কোনও প্রতিবাদ করতেন না গৌতম। তুলসীর মা মুক্তিদেবীর ইতিমধ্যে অভিযোগ করেছেন, আগেও মেয়েকে নিয়ে আসতে তিনি তুলসীর শ্বশুড়বাড়ি গিয়েছেন। কিন্তু শ্বশুড়বাড়ির লোকেরা নিয়ে যেতে দেয়নি। পুলিশ ইতিমধ্যে অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে শুরু করেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন।