রাজ্যের বাইরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এমন কোনও নেতা নন যে তাঁকে আটকাতে পরিকল্পনা করতে হবে। শনিবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের প্রতি এই ভাষাতেই কটাক্ষ ছুড়ে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
আগামিকাল ত্রিপুরায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা হওয়ার কথা আছে। সম্প্রতি ত্রিপুরায় করোনা পরিস্থিতিকে মাথায় রেখে বিশেষ নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সেই নির্দেশিকা অনুযায়ী রাজ্যের বাইরে থেকে কোনও ব্যক্তি ত্রিপুরায় এলে তাঁকে আরটিপিসিআর টেস্ট করিয়ে ঢুকতে হবে। বাংলা-সহ কয়েকটি রাজ্যের জন্য এই নিয়ম জারি করেছে ত্রিপুরা সরকার।
এই প্রসঙ্গে রাজ্যের বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানান, ‘অনেক রাজ্য আছে য়ে আমরা বহুবার আরটিপিসিআর টেস্ট করে গিয়েছি। আমি যখন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম, তখন আমায আরটিপিসিআর টেস্ট করে যেতে হয়েছিল। করোনা মহামারী রুখতে যে মহামারী আইন আছে, তাতে এই কথা বলা আছে। আমার মনে হয়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের বাইরে এমন কোনও নেতা নন, যে তাঁকে আটকাতে এই ধরনের পরিকল্পনা করতে হবে।’
এদিকে আগামিকাল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাকে ঘিরে ১৫ দফা শর্ত জারি করেছে ত্রিপুরা পুলিশ। সেই শর্তে জানানো হয়েছে, সভায় শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে। সভাকে ঘিরে যাতে অশান্তির ঘটনা না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে হবে। সভায় যাঁরা যাবেন অর্থাৎ তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের জন্য রাস্তায় যাতে কোনও যানজট তৈরি না হয়, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। সুপ্রিম কোর্ট লাউড স্পিকারের যে গাইডলাইন বেঁধে দিয়েছে, তা মেনে চলতে হবে। হাসপাতাল, ধর্মীয় স্থান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশ দিয়ে মিছিল করে যাওয়ার সময়ে কোনও স্লোগান দেওয়া যাবে না। মিছিল থেকে কোনও উস্কানিমূলক মন্তব্য করা যাবে না। এই রকমই ১৫ দফা শর্ত দিয়েছে পুলিশ প্রশাসন।