যতদিন আছি, ডায়মন্ড হারবারে ধর্মীয় বিভাজন হতে দেব না। শুক্রবার নিজের লোকসভা কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে এই মন্তব্য করলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেকের এই মন্তব্যে প্রশ্ন উঠছে, তবে কি নওসাদ সিদ্দিকির ডায়মন্ড হারবার থেকে ভোটে দাঁড়ানোর ঘোষণাকে ইঙ্গিত করলেন তিনি?
এদিন ফলতায় বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে যোগদান করে অভিষেক বলেন, ‘আমার গতকাল এখানে কর্মসূচি করার কথা ছিল। কিন্তু আপনারা জানেন, হঠাৎ করে আমাকে আবার নোটিশ পাঠিয়ে ইডি দফতরে সশরীরে উপস্থিত হওয়ার জন্য বলা হয়। সেই কারণে ইচ্ছা বা মন না থাকলেও আপনাদের সভা একদিন পিছিয়ে দিয়ে আমাকে এজেন্সির দফতরে যেতে হয়েছিল'।
বিজেপি তাঁর কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ করে অভিষেক বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে লড়াই না করতে পেরে, বিজেপি নানাভাবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে আমাদের দমিয়ে রাখতে চাইছে। কিন্তু আমরা মাথা নত করব না। যেদিন যেদিন আমার কর্মসূচি ছিল, সেদিন সেদিন সেই কর্মসূচিকে কীভাবে বাধাপ্রাপ্ত বা বিঘ্নিত করা যায়, তার একটা প্রচেষ্টা এরা মরিয়াভাবে চালিয়ে গিয়েছে'।
অভিষেক ইঙ্গিতপূর্ণভাবে বলেন, ‘জনপ্রতিনিধির কাজ দাঙ্গা লাগানো নয়। টাকা নিয়ে সেটিং করা নয়। জীবন বিপন্ন করে মানুষের পাশে থাকা। যতদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আছে এখানে ধর্মের নামে বিভাজন হতে দেব না। সাম্প্রদায়িক রাজনীতির বীজ বুনতে দেব না'।
লোকসভা নির্বাচনে ডায়মন্ড হারবার থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করবেন বলে চলতি সপ্তাহেই ঘোষণা করেছেন ভাঙড়ের ISF বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকি। তাঁকে সমর্থনের ইঙ্গিত দিয়েছে বাম ও কংগ্রেস। নওসাদের সিদ্ধান্ত নিয়ে সুর নরম বিজেপিরও। যার ফলে আসন্ন নির্বাচনে নিজের কেন্দ্রে অভিষেককে কড়া প্রতিদ্বন্দিতার মুখে পড়তে চলেছেন বলে মনে করছেন অনেকে। তাই কি নাম না করে নওসাদের বিরুদ্ধে নাম না করে মেরুকরণ, ধর্মীয় বিভাজন ও টাকা নিয়ে সেটিং করার অভিযোগ তুললেন অভিষেক?