কোচবিহারের দিনহাটা থেকে নবজোয়ার কর্মসূচি শুরু করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তার ঠিক ২৪ ঘণ্টা আগে কোচবিহারের মাটিতে দাঁড়িয়ে রক্তপাতহীন পঞ্চায়েত ভোটের কথা বললেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার তিনি কোচবিহারে গিয়েই মদন মোহন ঠাকুরের কাছে আশীর্বাদ প্রার্থনা করেন।
এদিন মন্দির থেকে বেরিয়ে অভিষেক বলেন, আমিও চাই রক্তপাতহীন পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার জন্য সঠিক প্রার্থী নির্বাচন চাই। রাজ্য়ের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করেন তিনি। নাম না নিয়ে তিনি শুভেন্দুকে নিশানা করে বলেন, বিরোধীরা তো এইটুকু। ওদের নিজেদেরই দলের মধ্য়ে দল, তার মধ্যে উপদল লেগেই আছে। তৃণমূলকে দেখে বরং ওরা পঞ্চায়েত নির্বাচনে কোথায় কাকে প্রার্থী নির্বাচন করবে সেই বিষয়টা ভেবে দেখুন।গণতন্ত্রে প্রধানমন্ত্রী, মুখ্য়মন্ত্রী, আমি, বিরোধী দলনেতা কেউ শেষ কথা নয়। শেষ কথা হল মানুষ। কর্মসূচি সার্থক কি না সেটা মানুষ বলবে। সময় অপচয় না করে গঠনমূলক কিছু করে বিজেপি পাশে থাকুক। বলেন অভিষেক।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, কোচবিহারের মাটিতে দাঁড়িয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে রক্তপাতহীন করার কথা বলছেন অভিষেক। তবে অনেকেরই এই কথা শুনে মনে পড়ে যাচ্ছে ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটের কথা। সেবার বিরোধীরা বহু আসনে কার্যত মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি। বিডিও অফিসের কাছ পর্যন্ত ঘেঁষতে দেয়নি শাসকদল। প্রচুর বিজেপি কর্মী সেই সময় জেলা পার্টি অফিসে আশ্রয় নিতেন ঘরছাড়া অবস্থায়। সেই ভয়াবহ. রক্তাক্ত সন্ত্রাসের ঘটনাগুলি এখনও অনেকের কাছে টাটকা।
সেই সঙ্গে শাসকদলের তীব্র কোন্দলে বার বার তপ্ত হয়েছিল দিনহাটা। গীতালদহ, বামনহাটা, সহ দিনহাটার বিস্তীর্ণ এলাকায় তখন গুলি বোমা, বন্দুকের শব্দে ত্রস্ত হতেন সাধারণ মানুষ।ব্যবসায়ীরা আতঙ্কে দোকান খুলতে পারতেন না। আর তখনও ক্ষমতায় ছিল তৃণমূলই। প্রশ্ন উঠছে তখন কেন ব্যবস্থা নেয়নি তৃণমূল? সেক্ষেত্রে রক্তপাতহীন ভোটের আহ্বান কতটা আন্তরিক সেই প্রশ্নটাও উঠছে।
এদিকে রাজনৈতিক মহলের মতে, বিরোধীরা যাতে মনোনয়ন জমা দিতে না পারেন সেজন্য ইতিমধ্যেই তৃণমূলের তাবড় নেতারা প্রকাশ্যেই হুঁশিয়ারি দিতে শুরু করেছেন। এনিয়ে নানা ধরনের হুমকি পর্বও শুরু হয়ে গিয়েছে। ভোট যত এগিয়ে আসবে ততই এই সন্ত্রাসের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে কতটা সন্ত্রাসমুক্ত হবে পঞ্চায়েত নির্বাচন তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup