শুধু বিরসা মুন্ডা নয়, পরের বছর ঠাকুর পঞ্চানন বর্মার জন্মদিনেও মিলবে রাজ্য সরকারি ছুটি। মঙ্গলবার বাঁকুড়ার রবীন্দ্রভবনে প্রশাসনিক বৈঠক চলাকালীন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘বেশ কিছুদিন ধরে এটা আমার মাথায় ছিল। এবার থেকে পঞ্চানন বর্মার জন্মদিনেও ছুটি থাকবে।’ এদিন এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
সোমবারই মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, আগামী বছর থেকে আদিবাসীদের ‘ভগবান’ বিরসা মুন্ডার জন্মদিনে ছুটি থাকবে। আর তার পরে আজ এই নতুন ছুটির ঘোষণা। অর্থাৎ ২০২১ সাল থেকে সরকারি ক্যালেন্ডারে ১১ ফেব্রুয়ারি পঞ্চানন বর্মার জন্মদিন উপলক্ষে ও ১৫ নভেম্বর বিরসা মুন্ডার জন্মদিবস উপলক্ষে ছুটি থাকবে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি রাজ্যে এসেছিলেন বিজেপি–র সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সফরে এসে পঞ্চানন বর্মার মূর্তিতে মাল্যদান করেছিলেন নাড্ডা ও বিরসা মুন্ডার মূর্তি মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছিলেন শাহ।
সামনে বিধানসভা নির্বাচন। আদিবাসী–রাজবংশী ভোটব্যাঙ্কের কথা মাথায় রেখে এদিন প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বেশ কিছু প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তার মধ্যে ছিল এই নতুন ছুটির ঘোষণা। মমতা বলেন, ‘নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, বিরসা মুন্ডা, পঞ্চানন বর্মা–সহ একাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বের নামে বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে রাজ্যে। অনেকদিন ধরেই পঞ্চানন বর্মার জন্মদিনে ছুটি ঘোষণা করার কথা মাথায় ছিল। আজ ঘোষণা করতে পেরে অনেকটাই নিশ্চিন্ত।’
এদিকে, বিষ্ণুপরের ঐতিহ্য সংরক্ষণের ব্যাপারেও মুখ্যমন্ত্রীর একটি পরিকল্পনার কথা এদিন ঘোষণা করেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি জানান, ‘বাংলার অসাধারণ সাংস্কৃতির ঐতিহ্য হচ্ছে সংস্কৃত ভাষায় তালপাতায় লেখা পুঁথি। এমন কয়েক হাজার পুঁথি রয়েছে বিষ্ণুপুরে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের মিউজিয়াম শাখায়। মল্লভূমের রাজাদের অবদান সে সব পুঁথি ৩০০–৪০০ বছর পুরনো। এগুলি ডিজিটাইজ করে জনসাধারণের জন্য অনলাইন প্লাটফর্মে তুলে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। একটি বেসরকারি সংস্থা ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে।’ মুখ্যসচিব জানান, বাংলা তথা ভারতের ছাত্রছাত্রী, এমনকী সারা পৃথিবীর গবেষকদের অনেক কাজে লাগবে এই সব ডিজিটাইজ্ড পুঁথি।