খুনের ঘটনা ঘটল শক্তিগড়ে।
আবার ভয়াবহ খুনের ঘটনা ঘটল শক্তিগড়ে। আর তাতে যেন শিউরে উঠল এলাকার বাসিন্দারা। কারণ কয়েকদিন আগে শক্তিগড়েই খুন হন কয়লা মাফিয়া রাজু ঝা। এবার এক যুবকের ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়েছে এলাকার মাঠ থেকে। ওই যুবকের সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। সোমবার রাতে এই ঘটনা ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের হীরাগাছি এলাকায়। দেহ উদ্ধার করে পুলিশের অনুমান, এই ঘটনা খুন। তবে গোটা বিষয়টি নিশ্চিত হতে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।
ঠিক কী ঘটেছে শক্তিগড়ে? স্থানীয় সূত্রে খবর, সোমবার রাতে এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই থমথমে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে গোটা গ্রামে। ওই যুবক চন্দননগরে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। কিন্তু রাতে মাঠের মাঝখানে তাঁর ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। কে বা কারা খুন করল তা বুঝতে পারছে না মৃত যুবকের পরিবার। ওই যুবকের বাড়ি হীরাগাছির ঘোষপাড়ায়। ওই যুবক চন্দননগরে তাঁর মায়ের কাছে থাকতেন। সোমবার চন্দননগর যাওয়ার জন্য তিনি বাড়ি থেকে বাবার সঙ্গে বেরিয়েছিলেন। মোটরবাইকে করে হীরাগাছি রেল গেটের কাছে তাঁকে নামিয়ে দেন তাঁর বাবা তাপস মালিক। সেখান থেকে ছেলের চন্দননগর যাওয়ার কথা ছিল বলে জানান তাপসবাবু।
আর কী জানা যাচ্ছে? পরিবার সূত্রে খবর, ওই যুবককে ছেড়ে বাড়ি ফিরে আসেন বাবা তাপস মালিক। আর তার কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁর কাছে ফোন আসে। তখন তাপসবাবু ছুটে গিয়ে দেখেন মাঠের মধ্যে পড়ে রয়েছে ছেলের নিথর দেহ। স্থানীয় বাসিন্দারা এই মাঠের মধ্যে তাঁর ছেলেকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে তাঁকে ফোন করে খবর দেন। মৃত যুবকের বাবা তাপস মালিক জানিয়েছেন, তাঁর ছেলে আইটিআই পাশ করেছিলেন সম্প্রতি।
পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে? পুলিশ সূত্রে খবর, নিহতের নাম তন্ময় মালিক (১৯)। তন্ময়ের মৃতদেহের পাশে তাঁরই এক বন্ধুর ব্যাগ মিলেছে। পিন্টু মুর্মু নামে সেই বন্ধুরও কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তাই এই খুনের সঙ্গে পিন্টুর যোগ রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। গোটা ঘটনার তদন্ত করতে ওই বন্ধুরও খোঁজ করা হচ্ছে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে একাধিকবার আঘাত করা হয়েছে তন্ময়ের শরীরে। তাঁকে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিক অনুমান। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে গোটা বিষয়টি পরিষ্কার হবে। উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই শক্তিগড়ে খুন হন কয়লা মাফিয়া রাজু ঝা। ল্যাংচা হাবের কাছেই গুলি করে খুন করা হয় তাঁকে। গতকালই সেই খুনের সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে এসেছে। আর তারপরই আবার খুন শক্তিগড়েই।