দাদা দিদি বুঝি না, পৃথক উত্তরবঙ্গের দাবি উসকে দিয়ে দিন কয়েক আগেই গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের নেতা বংশীবদন বর্মন বিতর্কে জড়িয়েছিলেন। এবার সেই বংশীবদনের বিরুদ্ধেই উঠল ভয়াবহ অভিযোগ। ভুয়ো স্কুল পরিদর্শন দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে বংশীবদন বর্মনের বিরুদ্ধে। এনিয়ে শুক্রবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা শাসকের দফতর ও স্কুল পরিদর্শকের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে রাজবংশী শিক্ষা সংসদ। তাঁদের দাবি দীর্ঘদিন ধরেই রাজবংশী শিক্ষা সংসদের আওতায় যে স্কুলগুলি রয়েছে সেখানে ইনস্পেকশন হয়নি। কিন্তু স্কুল পরিদর্শন না করিয়েও একাধিক স্কুল পরিদর্শন হয়েছে বলে দেখানো হচ্ছে। এর পেছনে রয়েছে টাকা আত্মসাতের ছক। নেপথ্যে রয়েছেন বংশীবদন, দাবি আন্দোলনকারীদের। তবে বংশী ঘনিষ্ঠ গ্রেটার নেতৃত্বের একাংশের দাবি ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলা হচ্ছে।
আন্দোলনকারীদের দাবি রাজবংশী ভাষার উন্নতির জন্য মুখ্যমন্ত্রী স্কুলগুলিতে ১০ কোটি টাকা সহায়তার কথা ঘোষণা করেছিলেন। এর জেরেই অস্তিত্বহীন স্কুলেও পরিদর্শন হয়েছে বলে দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎ করার চেষ্টা হচ্ছে। এদিকে আন্দোলনকারীদের দাবি, রাজবংশী শিক্ষা সংসদের অধীনে ২০১২সাল থেকে ১৬টি রাজবংশী স্কুল জেলায় চলছে। সেখানে প্রায় ৩০০ জন পড়ুয়া রয়েছে।কিন্তু এই স্কুলগুলিতে কোনও পরিদর্শন হচ্ছে না বলে তাদের অভিযোগ। কিন্তু এক্ষেত্রে রাজবংশী ডেভেলপমেন্ট অ্য়ান্ড কালচারাল বোর্ডের চেয়ারম্যান বংশীবদনের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তবে এব্য়াপারে বংশীবদন বর্মনের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে বিজেপি নেতা বাপি সরকার জানিয়েছেন,রাজবংশী, আদিবাসীদের প্রকৃত উন্নয়ন না করে কিছু ভুয়ো নেতা তৈরি করে সরকারি অর্থ কীভাবে তছরূপ করা যায় তার খেলা চলছে।