কয়েকদিন আগে নদিয়ার কৃষ্ণনগরে একটি পথপুকুরকে নৃশংসভাবে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছিল। তার প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন পশুপ্রেমীরা। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই খাবারে বিষ মিশিয়ে ৩ পথকুকুরকে খুন করার অভিযোগ উঠল। বনগাঁর দীনবন্ধুনগর এলাকায় রাতের অন্ধকারে তিনটি পথকুকুরকে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এছাড়া বেশ কয়েকটি পথকুকুর অসুস্থ হয়ে পড়েছে। সেগুলির চিকিৎসা চলছে।
আরও পড়ুনঃ ঘেউঘেউ শব্দে বিরক্ত হয়ে পথ কুকুরকে খুন করল যুবক
জানা গিয়েছে, এলাকার বাসিন্দা সুস্মিতা রায় নামে একজন পশুপ্রেমী রাস্তায় কয়েকটি পথকুকুরকে ছটফট করতে দেখেন। ঘটনায় তিনি চিকিৎসককে খবর দেন। এরপর তিনটি পথকুকুরকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। অসুস্থ কুকুরগুলির চিকিৎসা চলছে। ঘটনায় দোষীদের শাস্তিতে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন সুস্মিতা। অভিযোগ পাওয়ার পরে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। পথকুকুরের মৃত্যুর ঘটনায় সরব হয়েছেন পশুপ্রেমীরা।
সুস্মিতা রায় জানান, এই ঘটনা এই প্রথম নয়, এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে। তিনি জানান, সময়মতো জানতে পারলে কুকুরগুলিকে বাঁচানো যেত। কেউ বা কারা এই ঘটনা অসৎ উদ্দেশ্য নিয়েই ঘটিয়েছে দাবি করেছেন সুস্মিতা। এ বিষয়ে বনগাঁর পশুপ্রেমী সংগঠনের এক সদস্য জানান, এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া উচিত।
উল্লেখ্য, চলতি মাসের প্রথম দিকেই নদিয়ার কৃষ্ণগর পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডে কুকুরকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠেছিল। সেক্ষেত্রে এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে এই গুরুতর অভিযোগ উঠেছিল। ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তায় বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন পশুপ্রেমীরা। তারপরই তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শুধু এখানেই শেষ নয়, সম্প্রতি রাজ্যের একাধিক জায়গায় পথকুকুরকে হত্যার অভিযোগ উঠেছিল।
গত মাসে নিমতা থানার অন্তর্গত প্রতাপগড় এলাকায় এটি সারমেয়কে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছিল। বাঁশের আগায় পেরেক পুঁতে তা দিয়ে নির্মমভাবে পিটিয়ে খুন করা হয়েছিল। এছাড়াও বীরভূমের সিউড়ি এবং নানুরে পরপর দু'দিনে মৃত্যু হয়েছিল ১৬টি পথকুকুরের। সেক্ষেত্রে বিষ দিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছিল। গত মাসে পোলবার সুগন্ধা গ্রাম পঞ্চায়েতের মালতপাড়া গ্রামে বেশ কয়েকটি কুকুর ও শাবকের মৃত্যু হয়। ওই এলাকাতেও সব মিলিয়ে ১৬ টি পথ কুকুরের মৃত্যু হয়েছিল।