নৃশংসভাবে গরু পরিবহনের অভিযোগ, ট্রাক ঘিরে বিক্ষোভ স্থানীয়দের

কনটেনার ট্রাকের দরজা খুলে দেখা যায় তার মধ্যে গাদাগাদি করে রাখা হয়েছে প্রায় ৫০টি গরু। এর পরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা। ট্রাকটিকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।

এভাবেই নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল গরুগুলিকে। 

একটি কনটেনারে গাদাগাদি করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল ৫০টি গরু। অমানবিক সেই গরু পরিবহন রুখে দিল সাধারণ মানুষ। বুধবার দুপুরে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের আঝাপুরে জাতীয় সড়কের সার্ভিস লেনে উত্তেজনা ছড়ায়। উত্তেজিত জনতাকে দেখে ভিনরাজ্যের ওই ট্রাক ফেলে পালান চালক ও খালাসি। স্থানীয়দের দাবি, পুলিশের নাকের ডগায় এভাবে গরু পরিবহন হলেও কোনও পদক্ষেপ করা হয় না।

বুধবার আঝাপুর ফাঁড়ি থেকে ৫০০ মিটার দূরে উত্তর প্রদেশের নম্বর প্লেট লাগানো একটি কনটেনার ট্রাক থেকে গরু ছোট গাড়িতে তোলা হচ্ছিল। স্থানীয়দের দাবি, এই ঘটনা নতুন নয়। পুলিশ ফাঁড়ি থেকে কয়েক শ’ মিটার দূরে দিনের পর দিন এই কাজ চললেও পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করে না। এদিন একটি গরুবোঝাই কনটেনার এসে দাঁড়ায় আঝাপুরে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের সার্ভিস লেনে। সেখান থেকে গরু নিতে হাজির হয় ২টি ছোট ট্রাক।

তখনই ট্রাকগুলিকে ঘিরে ফেলেন স্থানীয়রা। কনটেনার ট্রাকের দরজা খুলে দেখা যায় তার মধ্যে গাদাগাদি করে রাখা হয়েছে প্রায় ৫০টি গরু। এর পরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা। ট্রাকটিকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তাদের অভিযোগ, অবলা পশুগুলিকে নৃশংসভাবে পরিবহন করা হলেও পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করে না। এরই মধ্যে গরু পরিবহনকারী গাড়িটির চালক ও খালাসি গাড়িটি ফেলে পালায়।

স্থানীয় এক যুবক বলেন, রোজ প্রশাসনের চোখের সামনে দিয়ে অমানবিকভাবে অবলা প্রাণীগুলিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কেউ কিছু বলার নেই। আমরা আমাদের এলাকায় এসব চলতে দেব না। এই গাড়ির জীবিত পশু পরিবহনের কী অনুমতি রয়েছে পুলিশ পরীক্ষা করুক। না থাকলে গাড়ি ও গরু আটক করতে হবে।