একে তো অর্শের ব্যথা। তার উপর সিবিআই দিয়েছে মনে ব্যথা। এই জোড়া ব্যথায় তিনি মর্মাহত। এমনই কথা তিনি লিখেছেন চিঠিতে। হ্যাঁ, তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তিনি আইনজীবী মারফৎ যে চিঠি নিজাম প্যালেসে পাঠিয়েছেন তাতে এই মনের ব্যথার কথাই উল্লেখ করেছেন। সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসারের ব্যবহারকে কার্যত ‘অমানবিক’ বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
কেন মর্মাহত হলেন কেষ্ট? সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সকালে অনুব্রত মণ্ডলের বোলপুরের বাড়িতে তলবি নোটিশ পাঠায় সিবিআই। গরু পাচার মামলার তদন্তকারী অফিসার সুশান্ত ভট্টাচার্যের এই ব্যবহারকে ‘অমানবিক’ বলে উল্লেখ করেছেন চিঠিতে। তারপর বুধবার সকালে ই–মেল করে তা জানিয়ে দেওয়া হয়। অসুস্থ শরীরে ২০০ কিমি পথ অতিক্রম করে এসএসকেএম হাসপাতালে পৌঁছে ছিলেন। মঙ্গলবারও তিনি অসুস্থ ছিলেন। তার পরও আবার বুধবার সিবিআই তলব করে। এটাই তাঁর কাছে ‘অমানবিক’ ব্যবহারের সামিল বলে জানিয়েছেন কেষ্ট মণ্ডল।
তারপর ঠিক কী ঘটেছে? অনুব্রত মণ্ডল মর্মাহত তো সিবিআইয়ের তাতে কি যায় আসে! এই পরিস্থিতিতে বুধবার মাঝরাতে বোলপুরে পৌঁছল সিবিআই আধিকারিকদের বড় দল। আজ, বৃহস্পতিবার অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ি গিয়ে তাঁকে জেরা করবে কিনা সিবিআই সেটা এখনও জানায়নি। সিবিআইকে ইতিমধ্যেই চিঠি দিয়ে অনুব্রত মণ্ডল ১৪ দিনের সময় চেয়েছেন। সিবিআই তাতে অনুমতি দিয়েছে কিনা তাও তাঁরা স্পষ্ট করেননি। ফলে বাড়ি গিয়ে যেমন হার্ড কপি পৌঁছে দিয়েছিলেন তেমনই আবার কেষ্টর বাড়িতে হাজির হতে পারেন সিবিআই আধিকারিকরা।
আর কী জানা যাচ্ছে? এই পরিস্থিতিতে সিবিআই আধিকারিকদের নিয়ে মোট পাঁচটি গাড়ি বুধবার মাঝরাতে বোলপুরে পৌঁছয়ে গিয়েছে। তার মধ্যে তিনটি গাড়ি এসেছে কলকাতার নিজাম প্যালেস থেকে। দুটি গাড়ি এসেছে আসানসোলের সিবিআই দফতর থেকে। আজ, বৃহস্পতিবার বোলপুরে কেন্দ্রীয় সরকারের অতিথিশালায় উঠেছেন সিবিআই কর্তারা। আজই তাঁদের অভিযানে বেরনোর কথা বলে সূত্রের খবর। গরু পাচার মামলায় দশবার তলব করা হয়েছিল অনুব্রতকে। কিন্তু তিনি বারবার হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছে। তাই কোনও বড় পদক্ষেপ করতে তদন্তকারী অফিসাররা এসেছেন কিনা বোঝা যাচ্ছে না। গরু পাচার মামলা এবং কয়লা পাচার কাণ্ডেরও তদন্ত করছে সিবিআই। বৃহস্পতিবার সকালে সিবিআই আধিকারিকদের গন্তব্য কোন পথে সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।