ভারত–বাংলাদেশের মধ্যে রয়েছে রক্তঋণের সম্পর্ক। আজও এই দুই প্রতিবেশী দেশের সম্পর্ক মজবুত ভিতের উপর দাঁড়িয়ে। রাত পোহালেই রাখি উৎসব। ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে বৃহস্পতিবার মেতে উঠবে সকলে। এই উৎসবে এপার বাংলা সৌভ্রাতৃত্বের বন্ধনে ওপার বাংলাকে আলিঙ্গন করতে চাইল। তাই ইছামতীর কচুরিপানা দিয়ে তৈরি হল রাখি। আর তারপর সেটা পৌঁছে দেওয়া হল পদ্মাপারে৷ আজ, বুধবার বনগাঁ পুরসভার পক্ষ থেকে এই নতুনত্বে মোড়া রাখি এবং মিষ্টি পৌঁছে দেওয়া হল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে৷
ঠিক কী ঘটেছে বনগাঁয়? বনগাঁর পেট্রাপোল সীমান্ত পেরলেই বাংলাদেশ। মুজিবের দেশ। সেখানেই যান বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল শেঠ। আর ওপার বাংলা থেকে আসেন বাংলাদেশের সাংসদ শেখ আফিলউদ্দিন। আলিঙ্গন করেন একে অপরকে। আর তাঁর হাতে কচুরিপানা দিয়ে তৈরি রাখি তুলে দেন গোপালবাবু। মুজিব কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দিতে বলেন। সৌহার্দ্য বিনিময় হয় দু’জনের মধ্যে।
ঠিক কী বলছেন বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান? এই বিষয়ে গোপাল শেঠ বলেন, ‘দু’দেশের মৈত্রী বন্ধন আরও দৃঢ় করতে এবং স্থানীয় মহিলাদের তৈরি কচুরিপানার রাখি যাতে ভবিষ্যতে রফতানি করা যায় তাই এই রাখিগুলি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে উপহার হিসাবে পাঠানো হল। আমরা কচুরিপানা থেকে তৈরি সামগ্রীর ব্যবসা করতে চাই। কচুরিপানা দিয়ে তৈরি সামগ্রীর বিপুল চাহিদা রয়েছে। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে বরাত আসতে শুরু করেছে।’
ঠিক কী বলেছেন পদ্মাপারের সাংসদ? এই রাখি পাওয়ার পর বাংলাদেশের সাংসদ শেখ আফিলউদ্দিন বলেন, ‘দুই দেশ এবং দুই বাংলার বন্ধন অনেক দৃঢ়। রাখিবন্ধন সেটাকে আরও মজবুত করে। কচুরিপানায় তৈরি রাখি ব্যবসায়িকভাবে অবশ্যই কাজে লাগানো যেতে পারে।’ এখন প্রশিক্ষণ নিয়ে মহিলারা কচুরিপানার ব্যাগ, টুপি, রাখি। ফাইল–সহ নানা সামগ্রী তৈরি করছেন।