সম্প্রতি কাশ্মীরে তুষারঝড়ের কবলে পড়ে মৃত্যু হয়েছিল তিন সেনা জওয়ানের। তাঁদেরই একজন বাঁকুড়ার সৌভিক হাজরা। তাঁর নিথর দেহ বাঁকুড়ায় তাঁর বাড়িতে এসে পৌঁছল। জানা গিয়েছে, গত শুক্রবার কাশ্মীরের মাচাল সেক্টরে টহল দেওয়ার সময় তুষারধসে চাপা পড়েছিলেন সৌভিক। পরে তাঁকে উদ্ধার করে আনা হয়। তবে তার আগে অনেকক্ষণ বরফের নিচে চাপা পড়া অবস্থায় ছিলেন সৌভিক। পরে আশঙ্কাজন অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ পর্যন্ত মৃত্যু হয় ২১ বছর বয়সি হাসিখুশি সৌভিকের।
ছোটবেলায় মাকে হারানো সৌভিককে বড় করে তোলেন তাঁর দিদিমা বাসন্তী বন্দ্যোপাধ্যায়। খামারবেড়িয়া গ্রামে মামার বাড়িতেই বড় হন তিনি। ২০১৯ সালে ওন্দা থানা মহাবিদ্যালয়ে স্নাতক স্তরে দ্বিতীয় বর্ষে পড়ার সময়ই সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন সৌভিক। কাশ্মীরে নিয়োগের আগে অসম, পঞ্জাবে নিযুক্ত ছিলেন তিনি। কয়েকদিন আগেই বাড়িতে পুজোর ছুটি কাটিয়ে গিয়েছিলেন সৌভিক। ডিউটিতে যোগ দিতে ভাইফোঁটার দিন ফিরে গিয়েছিলেন কাশ্মীরে। তার আগে অবশ্য বোনেদের কাছ থেকে ভাইফোঁটা নিয়ে গিয়েছিলেন।
পরিবার সূত্রে জানানো হয়, শুক্রবারও বাড়ির লোকেদের সঙ্গে ভিডিয়ো কলে কথা হয়েছিল সৌভিকের। তবে একদিনের ব্যবধানে পালটে গেল সব। সৌভিকের কফিনবন্দি দেহ বিমানে করে আনা হল দমদম বিমানবন্দরে। সেখান থেকে বাঁকুড়ায় তাঁর বাড়িতে সেই কফিন নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে সৌভিকের মৃত্যুসংবাদ পৌঁছাতেই শোকস্তব্ধ গোটা গ্রাম। গাঁয়ের ছেলেকে শেষবারের জন্য দেখতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন তাঁরা।