বিএসএফের বিরুদ্ধে স্থানীয়দের অত্যাচারের অভিযোগ তুলে যখন রাজ্যজুড়ে সোচ্চার শাসক তৃণমূল তখন বিরল মানবিক উদ্যোগের নজির গড়লেন বাহিনীর জওয়ানরা। বাবা - মেয়ের শেষ সাক্ষাতের জন্য খুলে দিলেন কাঁটাতার। শুক্রবার বিরল এই ঘটনা ঘটল উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা সীমান্তে। বিএসএফের এই উদ্যোগের প্রশংসায় পঞ্চমুখ স্থানীয়রা।
বাগদা সীমান্তের হরিহরপুর গ্রামের বাসিন্দা লিয়াকত মণ্ডলের বৃহস্পতিবার মৃত্যু হয়। বাগদা বেশ কিছু গ্রামে গৃহস্থের বাড়ির উঠোনের উপর দিয়েও সীমান্ত গিয়েছে। সেই ভাগাভাগিতে লিয়াকত সাহেবের মেয়ে হয়ে গিয়েছেন বাংলাদেশের বাসিন্দা। বাবার মৃত্যুর খবর পেয়ে তাঁকে শেষ দেখা দেখতে ভিসার আবেদন করেন মেয়ে। কিন্তু এত দ্রুত ভিসা জারি করা সম্ভব নয় বলে জানানো হয়। এর পর বাগদার মধুপুর ক্যাম্পের বিএসফের আধিকারিকের কাছে সীমান্তে বাবা - মেয়ের শেষ সাক্ষাৎ করানোর আবেদন করেন স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে বিজিবির সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়াত বাবা ও মেয়ের শেষ সাক্ষাতের ব্যবস্থা করে BSF.
শুক্রবার বিএসএফের পাহারায় সীমান্তের জ়িরো পয়েন্টে লিয়াকত সাহেবের দেহ নিয়ে যান পরিজনরা। বাংলাদেশ থেকে বিজিবির পাহারায় আসেন মেয়ে। সাদা চাদরে মোড়া বাবার দেহ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। সাক্ষাৎ শেষে আবার বাহিনীর পাহারায় নিজেদের ভূখণ্ডে ফিরে যায় দুপক্ষ।
বাবার দেহ দেখার পর সাংবাদিকদের মেয়ে বলেন, ‘বাবা মারা গিয়েছেন বলে জরুরি ভিত্তিতে ভিসা করানোর চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু পারিনি। এর পর বিএসএফকে শেষ সাক্ষাতের সুযোগ করে দিতে অনুরোধ করি। ওরা তৎপরতা দেখানোয় বাবাকে শেষ বার দেখার সুযোগ পেলাম।’