স্ত্রীকে খুন করে ঘরের ভিতরেই পুঁতে দিয়ে পলাতক স্বামী। ঘটনাটি ঘটেছে বারুইপুর থানা এলাকার শিখরবালি ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের ইন্দ্রপালার উত্তর মনসাতলা এলাকায়। নিহতের নাম অঞ্জলি মণ্ডল। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
উত্তর মনসাতলার বাসিন্দা রবীন মণ্ডলের সাথে ২০ বছর আগে বিয়ে হয় ইন্দ্রপালার বাসিন্দা অঞ্জলি মণ্ডলের। তাঁদের দুই পুত্র সন্তান আছে।তারা মামার বাড়িতেই থাকে। অভিযোগ, রবীন পেশায় চোলাই বিক্রিতা। জেলে যাতায়াত লেগে থাকে তাঁর। মত্ত অবস্থায় স্ত্রী ও সন্তানদের ওপর ব্যাপক অত্যাচার করতেন তিনি। মারপিটের ঘটনায় সেপ্টেম্বর মাসে ২০ তারিখ গ্রেফতার হয়েছিলেন শেষবার। পুজোর আগে ৫ অক্টোবর জামিন পায় রবীন। বিজয়া দশমীর দিন বুধবার শেষ দেখা যায় অঞ্জলি দেবী।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ওই দিন স্ত্রীকে ব্যাপক মারধর করেন রবীন। গভীর রাত পর্যন্ত অঞ্জলিকে আর্তনাদ করতে শোনা যায়। তবে নিত্যদিনের এই ঘটনাকে বেশি গুরুত্ব দেননি স্থানীয়রা।
নিহতের বাবার অভিযোগ, স্ত্রীর কাছে মদের টাকা চাইত। তা না পেলেই অঞ্জলি দেবীর উপর অত্যাচার চালাত রবীন। বিজয়া দশমীর দিনও মারধর করে। ওইদিনই তাকে খুন করা হয় বলে প্রাথমিক অনুমান।
নিহতে বাবা বলেন, বুধবার দিনভর মেয়ের খোঁজ না পেয়ে বৃহস্পতিবার তাঁর শ্বশুরবাড়ি আসেন তাঁরা। দেখেন জামাই বাড়িতেই রয়েছে। সে জানায় অঞ্জলির খোঁজ জানা নেই তার। সে টালি সরিয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে। কিন্তু এই তত্ত্ব বিশ্বাস হয়নি তাঁদের। শুক্রবার ছাগলের ঘরের সামনে মাটি খোড়া দেখে সন্ধান হয় তাদের। ততক্ষণে গা ঢাকা দিয়েছে রবীন।
খবর যায় পুলিশে। বারুইপুর থানার পুলিশ আধিকারিকরা গিয়ে দেহ উদ্ধার করেন। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছে।