যেমনটা বলা আছে, তেমনটাই করতে হবে অক্ষরে অক্ষরে। নিজের থেকে কিছু ভালো করারও কার্যত উপায় নেই। কার্যত এরকমই বার্তা দিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। মিড ডে মিলে বেশি খাবার দেওয়া এক প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকদের নোটিস পাঠিয়েছে রাজ্য। এই নিয়েই ছড়াল চাঞ্চল্য।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার আমগাছিয়া লাল বাহাদুর অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়র কর্তৃপক্ষকে শো-কজ করেছে বিষ্ণুপুর সার্কেলের স্কুলগুলির সাব ইনস্পেক্টর। তাদের অপরাধ হল অতিরিক্ত খাদ্য ও সাবান দেওয়া নির্দিষ্ট চাল ও আলুর সঙ্গে।
সরকারি আদেশ অনুসারে লকডাউনের মধ্যে প্রতিটি পড়ুয়ার বাড়ির লোকেরা তিন কেজি চাল ও আলু পাবেন এপ্রিলের ২০-৩০-এর মধ্যে। তব এই স্কুলের কর্তৃপক্ষ এর ওপর চিঁড়ে, বিস্কুট ও সাবান দিয়েছিল বাড়ির লোকদের। কেন নিজের থেকে আগ বাড়িয়ে বেশি জিনিস দেওয়া হল, সেটা নোটিস আসার তিন দিনের মধ্যে জানাতে হবে। নোটিসে জানতে চাওয়া হয়েছে যে অতিরিক্ত পণ্য দেওয়ার অধিকার স্কুল কর্তৃপক্ষকে কে দিল? এর জন্য কোনও অনুমতি নেওয়া হয়েছিল কিনা, জিজ্ঞাসা করা হয়েছে।
এই বিষয়ে প্রকাশ্য কিছু বলতে নারাজ স্কুল কর্তৃপক্ষ। শিক্ষা দফতরের কর্তাদের মতে এরকম ঘটনা বরদাস্ত করা হবে না। এটা সরকারি প্রকল্প। নিয়ম না মানলে বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে! সেই আমলা জানান রাজ্যের অন্য প্রা্ন্ত মিড ডে মিল বণ্টনের কাজ ঠিক ভাবে চলছে।
এর আগে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছিলেন কোনও রকমের ডাইনে বাঁয়ে কাজ তারা মেনে নেবেন না মিড ডে মিল দেওয়ার ক্ষেত্রে। সেই হিসাবেই অক্ষরে অক্ষরে কাজ করল তার দফতর। এই ঘটনা নিয়ে অবশ্য পার্থবাবুর প্রতিক্রিয়া মেলেনি।