পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘন্ট এখনও ঘোষণা করা হয়নি। তবে দোরগোড়ায় নির্বাচন এটা বোঝা যাচ্ছে। এগরা থেকে ভাঙড়— যেভাবে একের পর এক বোমাবাজির ঘটনা ঘটছে তাতে আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি হচ্ছে। আগে একবার বোমাবাজিতে উত্তপ্ত হয়েছিল ভাঙড়। এবার মাঝরাতে আইএসএফ–এর অঞ্চল সভাপতির বাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজি করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তাতে আরও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে আজ, বুধবার সকাল থেকে। এই বোমাবাজির অভিযোগ তোলা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। ভাঙড়ের ভগবানপুর অঞ্চলের ছয়ানি গ্রামে এখন চাপা উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। আইএসএফ–এর তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
এদিকে বুধবার সকাল থেকে চেঁচামিচি শুরু হয়ে গিয়েছে। কারণ কিছুদিন ধরে আইএসএফ বনাম তৃণমূল কংগ্রেস সংঘর্ষের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। দফায় দফায় অশান্তি হয়েছে দুই দলের মধ্যে। তাছাড়া পরস্পরের বিরুদ্ধে হুমকি, অভিযোগ তো চলছেই। এমনকী দু’পক্ষই সভা–সমাবেশ থেকে একে অন্যের দিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে। এই আবহে বোমাবাজি বেশ তপ্ত করে তুলেছে গ্রামীণ বাতাবরণকে। কারণ আইএসএফ–এর অঞ্চল সভাপতি আবুল ফারাকের বাড়িতে একদল দুষ্কৃতী বোমা ছোড়ে বলে অভিযোগ।
ঠিক কী অভিযোগ উঠেছে? সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেস নেতা আরাবুল ইসলাম হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। তার পাল্টা দেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। আইএসএফের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, আবুল ফারাক সক্রিয়ভাবে দলের সংগঠনের কাজ দেখছিলেন। তাই তাঁর বাড়ি লক্ষ্য করে মাঝরাতে বোমাবাজি করা হয়। এটা তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে করা হয়েছে। এই বোমাবাজির ঘটনার পর ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কাশীপুর থানার পুলিশ। ভোররাতে পুলিশ গিয়ে আবুল ফারাকের বাড়ি ঘিরে রাখে। আর তদন্ত শুরু করে।
তারপর ঠিক কী ঘটল? কাশীপুর থানার পুলিশ এখান থেকে বেশ কিছু তাজা বোমা উদ্ধার করেছে। এই বিষয়ে আইএসএফ–এর অঞ্চল সভাপতি আবুল ফারাক বলেন, ‘বাড়িতে তখন সবাই ঘুমাচ্ছিল। হঠাৎ বোমা পড়তে শুরু করে। আমার বাড়ির লোকজন বেরিয়ে দেখে বাড়ির উঠোনের সামনে বোমা পড়েছে। পুলিশ গিয়ে বোমা উদ্ধার করেছে। তৃণমূলের কর্মীরাই এসব করছে।’ পাল্টা তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সওকত মোল্লা পর্যবেক্ষক হয়ে যেভাবে মিটিং করছেন, তাতে মানুষের ঢল নামছে। আর তা দেখে আইএসএফ ভয় পাচ্ছে। ওরা নিজেদের বাড়িতে বোমা রাখছে। আর তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে।