নন্দীগ্রামের কালীচরণপুরে এক তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর বাড়ির দুয়ারে হামলা চালাল বিজেপি বলে অভিযোগ। এখানে ব্যাপক বোমাবাজির জেরে নির্মীয়মান বাড়িতে আগুন লেগে যায়। আজ, মঙ্গলবার সকালে এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী বলে পরিচিত সঞ্জয় দাসের নির্মীয়মান বাড়িতে আগুন লাগানো হয় বলে অভিযোগ। গোটা ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী সঞ্জয় দাস এই ঘটনার জন্য স্থানীয় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। সঞ্জয় দাস কিছুদিন আগেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। তাই প্রতিহিংসায় এরকম ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে দাবি তাঁর। তদন্তে নেমেছে নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ।
ঠিক কী ঘটেছে নন্দীগ্রামে? স্থানীয় সূত্রে খবর, আজ সকালে বাইরে থেকে এই বাড়িতে কেউ এসে আগুন লাগিয়ে দেয়। তারপর কয়েকটি বোমা পড়তে থাকে সেখানে। বোমার শব্দ শুনে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী বাইরে বেরিয়ে আসেন। আর চিৎকার চেঁচামেচি করতে থাকলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। পাড়া–প্রতিবেশীরা জড়ো হয়ে জল এনে আগুন নেভান। সঞ্জয় দাসের অভিযোগ, আজ বাড়ির বাইরে বোমাবাজির আওয়াজ শুনতে পাওয়া যায়। বিকট আওয়াজ শুনেই বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসেন পরিবারের সদস্যরা। বাইরে বেরিয়ে দেখেন তাঁদের নির্মীয়মান মাটির বাড়িতে আগুন জ্বলছে। বিষয়টি দেখেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সবাই।
ঠিক কী বলছেন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী? আগুন নেভানোর কাজ শুরু হলেও ততক্ষণে পুরো বাড়ির অধিকাংশ অংশই পুড়ে যায়। সঞ্জয় দাস বলেন, ‘আজ আমার স্ত্রী বিকট আওয়াজ শুনে বাইরে এসে দেখেন সামনের নির্মীয়মান বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা স্থানীয় কয়েকজনকে নিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করি।’ অগ্নিকাণ্ডের সময় দুই দুষ্কৃতীকে মোটরবাইক নিয়ে পালিয়ে যেতে দেখা গিয়েছে। এরা বিজেপির আশ্রিত দুষ্কৃতী বলে দাবি সঞ্জয়ের।
তৃণমূল–বিজেপি কী বলছেন ঘটনাটি নিয়ে? এই অভিযোগ অস্বীকার করে স্থানীয় বিজেপি মণ্ডল সভাপতি শ্যামাপ্রসাদ মাইতি বলেন, ‘তৃণমূলের আর কোনও কাজ নেই। আমাদের নামে দুর্নাম করা ছাড়া। কোনও পারিবারিক গণ্ডগোলের জেরে এমন ঘটনা ঘটেছে। বিজেপির কোনও সম্পর্ক নেই।’ পাল্টা নন্দীগ্রাম ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ বলেন, ‘শান্ত নন্দীগ্রামকে অশান্ত করতে চাইছে বিজেপি। সঞ্জয় দাসের একমাত্র দোষ সে বিজেপির সঙ্গে ছেড়ে তৃণমূলে এসেছে। অশান্তি কায়েম করে রাখতে চাইছে বিজেপি। তবে এটা আমরা হতে দেব না।’