ধুপগুড়ি বিধানসভা উপনির্বাচনের ঠিক আগেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক মিতালি রায়। রবিবার সকালেই বিজেপি নেতৃত্বের হাত ধরে তিনি পদ্ম শিবিরে যোগদান করেন। মূলত শাসক দলকে চাপে ফেলতে প্রাক্তন বিধায়ককে দলে টেনে নিয়েছে বিজেপি। কিন্তু, এ নিয়ে বিজেপির অন্দরেই অসন্তোষ দেখা দিচ্ছে। বিজেপির নেতা কর্মীদের অনেকের বক্তব্য, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল থেকে অনেক নেতা বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু, নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরে আবার তাঁরা তৃণমূলে ফিরে গিয়েছেন। তা সত্ত্বেও বিজেপি ২০২১ সাল থেকে শিক্ষা নেয়নি বলে নিজেদের দলকে আক্রমণ করেছেন অনেক বিজেপি নেতা কর্মী।
আরও পড়ুন: অভিষেকের সভায় যাওয়ার জন্য মানসিক চাপ দিয়েছে TMC, BJPতে যোগ দিয়ে বললেন মিতালি রায়
মিতালির বিজেপিতে যোগদান নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ধুপগুড়ির বিজেপির জেলা সম্পাদক অজয় সাহা। প্রসঙ্গত, বিজেপির প্রতি ভালোবাসা না থাকলেও শুধুমাত্র দলে গুরুত্ব না দেওয়ার কারণে মিতালি বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন সে কথা নিজে স্বীকার করেছেন। নিজের ফেসবুক পোস্টে জেলা সম্পাদক অজয় সাহা লিখেছেন, ‘২০২১ সাল থেকে বিজেপি এখনও কোনও শিক্ষা নেয়নি।’ তাঁর প্রশ্ন, ২০২১ সালে যিনি বিজেপির কাছে পরাজিত হলেন সে কি করে বিজেপিকে জেতাবে? এর পাশাপাশি এজন্য বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বকে দায়ী করে দলের পুরনো কর্মীদের দলত্যাগ করার বিষয়েও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অজয় সাহা। তিনি আরও মন্তব্য করেছেন, দলের পুরনো কর্মীদের বসিয়ে রাখা হচ্ছে তাঁদের গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। তাঁর পোস্টে আদি নব্য দ্বন্দ্ব প্রকাশ পেয়েছে। তাঁর কটাক্ষ, ‘তৃণমূল থেকে আসা চোরচোট্টাগুলি বিজেপিতে ঢুকছে। সে বিষয়ে কারও মাথা ব্যাথা নেই।’ তাঁর মতে, এই সমস্ত নেতারা বঙ্গ বিজেপিকে শেষ করে ছাড়বে।
প্রসঙ্গত, ১১ বছরের বেশি সময় ধরে তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন মিতালি রায়। ২০১২ সালে তিনি তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। এরপর ২০১৬ সালে ধুপগুড়ি বিধানসভায় জিতে তিনি তৃণমূলের বিধায়ক হয়েছিলেন। তবে ২০২১ সালে তিনি আর জিততে পারেননি। বিজেপি প্রার্থীর কাছে তিনি হেরে গিয়েছিলেন। তবে তারপরে দলে তাঁর গুরুত্ব কমে যায়। ধুপগুড়ি উপনির্বাচনে তাঁকে প্রার্থী করা হয়নি। মিতালি স্পষ্ট জানিয়েছেন, বিজেপির প্রতি তাঁর কোনও টান নেই। শুধুমাত্র তৃণমূলের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়েই তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। এই অবস্থায় মিতালি আবার তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন বলে আশঙ্কা গেরুয়া শিবিরের নিচের তোলার নেতা কর্মীদের। তাই মিতালির বিজেপিতে যোগদান নিয়ে অনেকেই অসন্তুষ্ট।