মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। যখন তিনি বিরোধী দলের নেত্রী তখন তাঁকে বলা হত অগ্নিকন্যা। আর এখন তিনি শাসক। তিনিই বসেছেন মুখ্য়মন্ত্রীর চেয়ারে। তবে জীবনের যে পরিস্থিতিতেই থাকুন না কেন বীরভূমের সঙ্গে তাঁর বরাবরের আত্মিক যোগাযোগ। সেই বীরভূমের লাভপুরের নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে শৈশবে ফিরলেন মমতা। এই লাভপুরের কাছেই কুসুম্বা গ্রাম। সেখানেই মমতার মামারবাড়ি। বার বার মমতার কথায় ফিরে এসেছে সেই মামার বাড়ির স্মৃতি।
লাভপুরে প্রচারে এসেও সেই মামারবাড়িতে থাকার দিনগুলির স্মৃতিচারণা করলেন মমতা। বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী অসিত মালের সমর্থনে প্রচারে এসেছিলেন মমতা। সেখানেই তিনি সেই মামার বাড়িতে থাকার দিনগুলির কথা তুলে ধরেন।
মমতা বলেন, ছোটবেলায় পরীক্ষা শেষ হলেই আমরা মামার বাড়ি চলে আসতাম। একমাস ধরে থাকতাম। কখনও গ্রামে ঘুরে বেড়াতাম। সাঁতার কাটতাম, ধান কাটতাম, গাছে চড়তাম। এগুলো তো সব ছোটবেলায় শেখা। আজকের শেখা নয়। সবাই তো বলে আমি কী করে এসব করি? আমি তো সবই শিখেছি। অনেকে বলেন রান্না করা কী এমন বড় ব্যাপার! আমি বলি রান্না খুব বড় কাজ। ধরুন রান্নায় নুন দিলেন না, কেমন হবে খেতে? অথবা চিনি দিয়ে দিলেন, মাছের ঝোলটা কেমন খেতে লাগবে? ভালো করে রান্নার মধ্য়ে একটা শিল্প আছে।
এরপর তিনি চাকাইপুরের প্রসঙ্গটা তোলেন। তিনি বলেন, আমি কখনও চাকাইপুর যাইনি। এটা কিন্তু খুব খারাপ। আমি ঠিক করেছি, এবার কুসুম্বা গেলে চাকাইপুর গ্রামটা ঘুরে আসব।
এখানেই শেষ নয়। মমতা এদিন একেবারে ছোটবেলায় ফিরে গিয়েছিলেন কিছুক্ষণের জন্য। যিনি একের পর এক ক্ষেত্রে বিজেপিকে বাক্যবাণে বিদ্ধ করেন সেই নেত্রী এদিন নির্বাচনী জনসভায় প্রশ্ন করেন, ওই শাকটা কি এখনও এখানে পাওয়া যায়? পাট শাকের মতো খেতে পুংকা শাক, রসুন দিয়ে ভেজে খেতে হয়। খুব ভালো খেতে। মাছের ঝাল টক, পোস্তর বড়া, আলু পোস্ত এসব বীরভূমের একেকটা উপাদান।
আসলে বীরভূম মানেই নেত্রীর ছোটবেলা। একটা সময় বীরভূমে এলে মমতা বার বার বলতেন অনুব্রত মণ্ডলের কথা। কিন্তু সেই অনুব্রত মণ্ডল বর্তমানে তিহাড় জেলে বন্দি। সেক্ষেত্রে এদিন লাভপুরে সভা করলেও সেখানে আসার সুযোগ ছিল না কেষ্ট মণ্ডলের। তবে মমতার কথায় বার বার উঠে আসে বীরভূমের প্রতি তাঁর ছোটবেলার স্মৃতির কথা।