'তৃণমূলে যোগদানের অর্থ ইলেক্ট্রিক চুল্লিতে ছুকে যাওয়া', এমনই মন্তব্য করলেন দীর্ঘ প্রায় দুই দশক ঘাসফুল শিবিরে কাটানো মিহির গোস্বামী। কোচবিহারের নাটাবাড়ির বিধায়ক মিহির গোস্বামী বিজেপি ত্যাগী বিধায়কদের সতর্ক করে দেওয়ার ভঙ্গিতে বলেন, 'উত্তরবঙ্গের বিধায়করা খুব ভালো করে জানেন যে তৃণমূল কী। যাঁরা তৃণমূলে রয়েছেন, তাঁরাও জানেন যে কোন ইলেকট্রিক চুল্লিতে আছেন।'
উল্লেখ্য, বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলের ইতিমধ্যেই যোগ দিয়েছেন তিন বিধায়ক। উত্তরবঙ্গেও ভাঙনের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। এই আবহেই উত্তরবঙ্গের ৮ জেলার বিজেপির জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে ডাকা হয়েছিল একটি বৈঠক। সেই বৈঠকে আবার অনুপস্থিত ছিলেন পাঁচ বিধায়ক, যা নিয়ে শুরু হয় জল্পনা। সূত্রে খবর, পুরাতন মালদার বিধায়ক গোপাল চন্দ্র সাহা, রঘুনাথপুরের বিধায়ক বিবেকানন্দ বাউড়ি, কুমারগ্রামের বিধায়ক মনোজকুমার ওরাওঁ, বালুরঘাটের বিধায়ক অশোককুমার লাহিড়ী, গঙ্গারামপুরের বিধায়ক সত্যেন্দ্রনাথ রায় এবং হাবিবপুরের বিধায়ক জুয়েল মুর্মু এদিনের বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন। যদিও বিজেপির দাবি, পারিবারিক বা ব্যক্তিগত কারণের জেরে এই বিধায়করা বৈঠকে অনুপস্থিত, এর সঙ্গে দল বদলের কোনও সম্পর্ক নেই।
এই পরিস্থিতিতে উত্তরবঙ্গে বিজেপি অটুট রয়েছে বলে বার্তা দেন মিহির গোস্বামী। পাশাপাশি নাম না করে তৃণমূল সম্পর্কে যেন দলত্যাগীদেরও বার্তা দেন শুভেন্দুর ডেপুটি। তিনি সংবাদমাধ্যমে বলেন, 'উত্তরবঙ্গে বিজেপির ভাঙনের কোনও কারণ নেই। এখানকার বিজেপি বিধায়করা খুব ভালো করেই জানেন তৃণমুলে যাওয়া মানে ইলেকট্রিক চুল্লিতে ঢোকা। স্বাধীনতার পর থেকে বঞ্চিত হয়েছে উত্তরবঙ্গ। সমস্ত বিষয়ে রাজ্যকে রাজস্ব দিয়ে এসেছে। অথচ উন্নয়ন নেই, কর্মসংস্থান নেই। বাম ও তৃণমূল আমলেও বঞ্চিত থেকেছে উত্তরবঙ্গ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর শিলিগুড়িতে উত্তরকন্যা হয়েছে। কিন্তু এখানে কোনও আধিকারিক থাকেন না। কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে রাজ্য সরকার সবসময় বিবাদ করে চলছে। উত্তরবঙ্গে প্রায় ২ কোটি মানুষের বাস। তাই মানুষ যদি কোনও দাবি তুলে তখন জনপ্রতিনিধি হিসেবে নিশ্চয় মানুষের সঙ্গে থাকতে হবে।'