বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার অনুষ্ঠানকে ঘিরে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এল হুগলিতে। জেপি নাড্ডার অনুষ্ঠানে ঢুকতে না পেরে বিক্ষোভ দেখালেন অনেকেই। আবার গতকাল হুগলির অনুষ্ঠানে জেপি নাড্ডা পৌঁছনোর আগেই এক বিজেপি নেতাকে ধমক দিলেন হুগলির সাংসদ তথা বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়। এমনকি, বিজেপি কর্মীদের মধ্যে বচসা এবং মারামারিও হয়েছে। যার ফলে এক বিজেপি কর্মী আহত হয়েছেন বলে খবর।
গতকাল হুগলির চুঁচুড়ার জোড়াঘাটে জে পি নাড্ডার কনভয় এসে পৌঁছনোর আগে দেখা যায় হুগলির বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক দীপাঞ্জন গুহকে কিছু একটা বলছেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। এমনকি রাজ্য সাধারণ সম্পাদককে আঙুল উঁচিয়েও ধমকান লকেট চট্টোপাধ্যায়। তাকে বেশ উত্তেজিত দেখাচ্ছিলো সেই সময়। বিজেপির অন্যান্য নেতা সুবীর নাগ, স্বপন পাল, হুগলি জেলা সভাপতি তুষার মজুমদার প্রমুখ নেতারা তখন লকেটকে থামানোর চেষ্টা করলেও ওই বিজেপি নেতাকে তিনি শাঁসিয়ে যান। তারপরে জেপি নাড্ডার কনভয় এসে পৌঁছলে সকলে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।
চুঁচুড়ার পর চন্দননগরে যান বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। সেখানেও তাঁর সভাকে ঘিরে বিজেপি কর্মীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা যায়। অনেকেই বিজেপির সভাপতির সভায় ঢুকতে পারেননি। এ নিয়ে বিজেপি নেতা কর্মীদের মধ্যে বচসা এবং মারামারি হয় বলে জানা গিয়েছে। যার ফলে শাশ্বত বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক বিজেপি কর্মী আহত হয়েছেন। গতকাল হুগলির দুই জায়গায় বিজেপি কর্মীরা নাড্ডার সভায় ঢুকতে না পেরে দীপাঞ্জনকে ঘিরে বিক্ষোভ করেন। কিন্তু, দীপাঞ্জনকে ঘিরে কেন বিক্ষোভ এবং তাকে বিজেপি সাংসদ কেনই বা ধমকাচ্ছিলেন? বিজেপি সূত্রের খবর, জেপি নাড্ডার অনুষ্ঠানে কারা উপস্থিত থাকবেন তার তালিকা তৈরির দায়িত্ব ছিল দীপাঞ্জনের উপর। ফলে যে সমস্ত নেতাকর্মীরা ঢুকতে পারেনি তারা দীপাঞ্জনকে ঘিরে বিক্ষোভ করেন। যদিও এ নিয়ে মুখ খুলতে চাইছেন না বিজেপি নেতৃত্ব। সুবীর নাগ বলেন, ‘বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির অনুষ্ঠানে আমি গিয়েছিলাম। তবে সেখানে কোনও অশান্তি হয়েছে বলে আমার জানা নেই।’ এনিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল কংগ্রেস। চন্দননগর শহরে তৃণমূল সভাপতি মুন্না আগারওয়াল জানিয়েছেন, ‘নিজেদের মধ্যে ঝামেলা করাটাই বিজেপির সংস্কৃতি। এরা কীকরে দেশ চালাচ্ছে সেটা আশ্চর্যের।’