পার্টি অফিস তালাবন্ধ, বিরক্ত হয়ে হুগলি থেকে ফিরলেন জেপি নড্ডা

চন্দননগরে রাসবিহারী বসু রিসার্চ ইনস্টিটিউটে যাওয়ার সময় ওই দলীয় কার্যালয়ে যান জেপি নড্ডা। হুগলির ৩ নম্বর গেটের সরু রাস্তায় ঢুকে পড়ে তাঁর ২৫টি গাড়ির কনভয়। কিন্তু কার্যালয়ের বাইরে তালা ঝুলছে। বিজেপি কর্মীরা ছুটে আসেন। কিন্তু চাবি নেই।

জেপি নড্ডা। (PTI)

হুগলি সাংগঠনিক জেলার দলীয় কার্যালয়ে ঢুকতেই পারলেন না বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা। পার্টির অফিসের দুয়ারে থেকে ফিরতে হবে তা তিনি ভাবতেই পারেননি। এখানের চাবিই নেই! তাই কিছুক্ষণ অপেক্ষার পরে বিরক্ত হয়ে ফিরে আসেন তিনি। বুধবার তাঁর কনভয় কার্যালয়ের সামনে পৌঁছলে দেখা যায় পার্টি অফিসের দরজায় ঝুলছে তালা। এমনকী সেই চাবি কোথায়, তা নিয়ে শুরু হয়ে যায় দোষারোপের পালা। প্রকাশ্যে চলে আসে পদ্মশিবিরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।

ঠিক কী ঘটেছে হুগলিতে?‌ সূত্রের খবর, চন্দননগরে রাসবিহারী বসু রিসার্চ ইনস্টিটিউটে যাওয়ার সময় ওই দলীয় কার্যালয়ে যান জেপি নড্ডা। হুগলির ৩ নম্বর গেটের সরু রাস্তায় ঢুকে পড়ে তাঁর ২৫টি গাড়ির কনভয়। কিন্তু কার্যালয়ের বাইরে তালা ঝুলছে। বিজেপি কর্মীরা ছুটে আসেন। কিন্তু চাবি নেই। তখন তালা ভাঙতে উদ্যত হন দলের কয়েকজন কর্মী। সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে রীতিমতো ধমকাতে দেখা যায় বিজেপি নেতা দীপাঞ্জন গুহকে। এমনকী রসিকতা করে এক কর্মী গেয়ে ওঠেন, ‘‌অউর চাবি খো যায়ে’‌। প্রবল বিড়ম্বনায় পড়েন জেলার নেতারা।

ঠিক কী বলছে তৃণমূল কংগ্রেস?‌ এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর ইন্দ্রজিৎ দত্ত বলেন, ‘ওঁর কনভয় ওদের পার্টি অফিসের দিকে ঢুকেছিল। জানতে পারলাম, গেট তালাবন্ধ থাকায় তিনি ঢুকতে পারেননি। তাই বিরক্ত হয়ে ফিরে গিয়েছেন। দলীয় কার্যালয় খোলার নাকি লোকই ছিল না!’ চাবি বিভ্রাটে সেখানে ঢুকতেই পারলেন না তিনি। এটা বঙ্গ–বিজেপির সংগঠনের কঙ্কালসার চেহারা বলে মনে করছেন অনেকে। যা পরখ করে গেলেন নড্ডা।

উল্লেখ্য, বিজেপির অন্দরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করে একুশের নির্বাচনের পর থেকে। বিজেপি সাংসদ বিধায়করা দল ছাড়তে শুরু করেন। বহু নেতা–কর্মীও বিজেপি ত্যাগ করেছেন। জেলায় সংগঠন তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। সেটাই দেখতে পেলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। এই বিষয়ে আগেই তথ্য দিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। তা পুরোপুরি মিলে গেল বলে মনে করা হচ্ছে।