কোভিডের সংক্রমণ যত বেড়েছে ততই ঘরে ঘরে বাড়ছে পালস অক্সিমিটারের চাহিদা। কিন্তু চাহিদার সঙ্গে যোগানের ফারাকও বাড়ছে ক্রমশ। এর জেরে গত কয়েকদিনে পালস অক্সিমিটারের বাজারও ক্রমেই চড়েছে। এবার সেই সুযোগটাই কাজে লাগাতে চাইছে পাচারকারীরা। নদিয়ার ভারত- বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফের হাতে আটক চোরাই অক্সিমিটার সহ এক যুবক। বিএসএফ সূত্রে খবর সীমান্ত পথে অক্সিমিটার পাচারের ঘটনা এই প্রথম। এই ঘটনায় একজন যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার কাছ থেকে ২৯৮টি পালস অক্সিমিটার পাওয়া গিয়েছে। কোভিডের অতিমারীতে এই প্রথম অক্সিমিটার পাচারের বিষয়টি দেখা গেল সীমান্ত পথে।
কীভাবে হচ্ছিল এই পাচার? বিএসএফের এক আধিকারিক জানিয়েছেন,'পেঁয়াজের মধ্য়ে একটি প্লাস্টিকের ব্যাগে রাখা ছিল এই অক্সিমিটারগুলি। অভিযুক্ত ব্যক্তির ১৯ বছর বয়সী এক কলেজ ছাত্র। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে এগুলি পৌঁছে দেওয়ার জন্য সে ৩০০ টাকা পেয়েছিল। বাজেয়াপ্ত সামগ্রী সহ ওই যুবককে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।'
তবে ওয়াকিবহাল মহলের মতে এতদিন গরু, সোনা পাচারের কথা শোনা যেত ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে। সীমান্ত পথে অন্যান্য দামী সামগ্রী পাচারের প্রবণতাও রয়েছে। কিন্তু তা বলে বাংলাদেশ থেকে ভারতের পথে অক্সিমিটার পাচার? আসলে চাহিদা অনুসারে এই পাচারের সামগ্রীতেও বদল আনে পাচারকারীরা। বর্তমানে ভারতের বাজারে পালস অক্সিমিটারের কিছুটা ঘাটতি রয়েছে। সেই সুযোগে চোরা পথে পালস অক্সিমিটার এনে চড়া দামে বিক্রি করার ছক কষেছিল পাচারকারীরা। কিন্তু সেই ছক বানচাল করে দিয়েছে বিএসএফ। প্রাথমিত তদন্তে পুলিশের অনুমান, যে তরুণকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাকে কম টাকার বিনিময়ে মূলত ক্যারিয়ার বা বহনকারী হিসাবে ব্যবহার করেছিল পাচারকারীরা।