২০১৬ সালের প্যানেল বাতিল করে দিয়েছে কলকাতার হাইকোর্ট। যার ফলে চাকরি যেতে বসেছে ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীর। এর ফলে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে প্রায় ১২ শতাংশ শিক্ষক শিক্ষিকার চাকরি যেতে বসেছে।সেই সঙ্গে কয়েক হাজার শিক্ষা কর্মীরও চাকরি গিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে মামলাটি বিচারাধীন থাকলেও এখনও পর্যন্ত স্থগিতাদেশ দেয়নি। এরই মধ্যে প্রকাশিত হয়েছে মাধ্যমিকের ফল।কিন্তু, এত সংখ্যক শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীদের চাকরি না থাকায় ভরতি প্রক্রিয়ার কাজ নিয়ে চিন্তিত মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও স্কুল কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: বদলি কিংবা পদোন্নতি নিতে গিয়ে নাম উঠেছে চাকরিহারাদের তালিকায়, এবার কী হবে?
রাজ্যে ৬ হাজারের বেশি উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে শুক্রবার থেকে ভরতি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে একাদশে। প্রসঙ্গত, স্কুল শিক্ষা দফতরের হিসাব অনুযায়ী, এখন উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের স্কুলগুলিতে ২৬ হাজারের কিছু বেশি শিক্ষক শিক্ষিকা রয়েছেন। এরমধ্যে ২০১৬ সালের প্যানেলে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে ৫,৫৯৬ জন শিক্ষক শিক্ষিকা চাকরি পেয়েছিলেন। ফলে এতজন বাতিল হওয়ায় ভরতি প্রক্রিয়ায় সমস্যা হবে বলে মনে করছে কর্তৃপক্ষ।
বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন নির্দেশের ফলে এই শিক্ষকদের চাকরি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। আপাতত তারা চাকরিহীন বলেই ধরে নিতে হবে। তারা এখন স্কুলে যাবেন কি যাবে না সেটা মধ্যশিক্ষা পর্ষদের উপর নির্ভর করছে। তবে এ বিষয়ে পর্ষদের বক্তব্য, এত শিক্ষকের স্কুলে যাওয়া না যাওয়া পর্ষদ ঠিক করবে । তবে তাদের নিয়ে নিশ্চিতভাবে কিছুই বলতে পারেনি পর্ষদ।
অন্যদিকে, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের নির্দেশে এবার একাদশ দ্বাদশে সেমিস্টার পদ্ধতি চালু হচ্ছে। দুটি শ্রেণির চারটি পরীক্ষা হবে। ফলে এই পরিস্থিতিতে স্কুলগুলির উপর চাপ বাড়তে চলেছে। যদিও মাধ্যমিক স্তরে এক লক্ষের কিছু বেশি শিক্ষক শিক্ষিকা রয়েছে। তবে ১৭ হাজারের মতো শিক্ষক শিক্ষিকা চাকরি নিয়ে দোটানোর মধ্যে রয়েছেন। কারণ আদালতের রায়। এই অবস্থায় এখন স্কুলের ক্যাজুয়াল এবং প্যারাটিচারদের উপরে ভরসা করতে হচ্ছে কর্তৃপক্ষকে। এরকম অনেক স্কুল রয়েছে যেখানে শিক্ষকের হার পড়ুয়াদের অনুপাতে অনেক কমে গিয়েছে। স্কুলের আধিকারিকদের মতে, এনিয়ে সুপ্রিম কোর্ট স্থগিতাদেশ না দিলে একাদশে ভরতি এবং পঠনপাঠন অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।