পার্শ্ব শিক্ষকদের বেতন সংক্রান্ত মামলায় কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারকে বক্তব্য জানানোর নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। পার্শ্ব শিক্ষকদের করা সমবেতন সংক্রান্ত মামলায় এই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। দুই পক্ষকেই হলফনামা আকারে বক্তব্য জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, শিক্ষকদের সমতুল্য কাজ করতে হয় পার্শ্ব শিক্ষকদের। তারপরেও বেতন কম হওয়ায় তাঁরা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। পার্শ্ব শিক্ষকদের করা সেই সংক্রান্ত মামলায় এই নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
আরও পড়ুন:প্যারা টিচারদের হাল জানতে হতে পারে সার্ভে, সম্ভাবনা পদোন্নতির
পার্শ্ব শিক্ষকদের বক্তব্য, সম কাজে সম বেতন যদি হয় তাহলে সে ক্ষেত্রে তাদের বেতন কেন কম হচ্ছে? এমনকী গ্রুপ ডি, সি কর্মীদের থেকেও পার্শ্ব শিক্ষকদের বেতন কম। সেক্ষেত্রে আদালতের প্রশ্ন, অন্যান্য রাজ্যে কেন্দ্র একই অনুদান দিলে এরাজ্যে বেতন কম কেন? তা জানতেই রাজ্য এবং কেন্দ্রের কাছে হলফনামা চেয়েছে উচ্চ আদালত। যদিও এর আগে রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছিল, পার্শ্ব শিক্ষকদের বেতনের জন্য কেন্দ্রের যে অনুদান তা আগের থেকে কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই কারণেই তাঁদের বেতন বৃদ্ধি সম্ভাব হচ্ছে না। উল্লেখ্য, প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকরা ১০০০০ টাকা বেতন পেয়ে থাকেন। অন্যদিকে উচ্চ প্রাথমিকের পার্শ্ব শিক্ষকরা ১৩০০০ টাকা করে বেতন পেয়ে থাকেন। সে ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা বেতন বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন। সে ক্ষেত্রে কেন্দ্রের অনুদান কত? বা আদৌও কমানো হয়েছে কিনা তার ব্যাখ্যা চেয়ে পাঠিয়েছে আদালত।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসার পরেই পার্শ্ব শিক্ষকদের বেতন বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সেই মতো তাঁদের বেতনও কিছুটা বাড়ানো হয়েছিল। তবে পরে আর তা বাড়েনি। এই নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন করে আসছেন তাঁরা। কিন্তু, তাঁদের দাবি মেনে নেওয়া হয়নি হলে অভিযোগ। তাই সমকাজে সমবেতনের দাবিতে শেষমেষ কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন পার্শ্ব শিক্ষকেরা।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে শিক্ষানীতি গ্রহণের সময় পার্শ্ব শিক্ষকদের পদোন্নতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তাঁদের অভিযোগ ছিল শিক্ষকদের সমান তাঁরা কাজ করে থাকেন। শুধু তাই নয়, অনেক ক্ষেত্রে শিক্ষকদের থেকে বেশি কাজ করতে হয় তাঁদের। এমনকী স্কুলের বিভিন্ন কাজও তাঁদের করতে হয়। সেই সমস্ত দাবি দাওয়ার ভিত্তিতে পার্শ্ব শিক্ষকদের পদোন্নতির বিষয়টি আলোচনা করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।