এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে রাজ্য–রাজনীতি সরগরম। এমনকী মামলাটির তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (সিবিআই)। তাতে বিজেপি ধোঁয়া দিয়েছে। পাল্টা রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা কল্যাণীর এইমস হাসপাতালে বিজেপি সাংসদ, বিধায়করা নিজেদের লোকজনকে চাকরি পাইয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন। এবার সেখানেও নিয়োগ দুর্নীতি হয়েছে বলে তদন্তভার তুলে দেওয়া হল সিআইডির হাতে।
কারা এই নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত? সূত্রের খবর, এইমস হাসপাতালে নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে, বাঁকুড়ার সাংসদ সুভাষ সরকার, রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকার, বাঁকুড়ার বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানা এবং চাকদহের বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ। যদিও তাঁরা নিজেরা এইসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তবে এবার এই ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে তদন্তে নামছে সিআইডি।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? সম্প্রতি কল্যাণী এইমস হাসপাতালে বিক্ষোভের মুখে পড়েন বিজেপি সাংসদ ডাঃ সুভাষ সরকার। অভিযোগ ওঠে, বহিরাগতদের এখানে চাকরি দেওয়া হচ্ছে। স্থানীয়রা চাকরি পাচ্ছেন না। এমনকী বিজেপির চার জনপ্রতিনিধির জনের নাম উঠে আসে। তখন প্রচুর তথ্য জোগাড় করে কল্যাণী থানা। আজ, বৃহস্পতিবার সেইসব নথি পুলিশ তুলে দিয়েছে সিআইডির হাতে।
কল্যাণী থানা তথ্য পেল কী করে? পুলিশ সূত্রে খবর, মে মাসে সরিফুল ইসলাম নামে মুর্শিদাবাদের এক যুবক অভিযোগ করেন কল্যাণী থানায়। তার আগে একাধিকবার এখানে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা বেশকিছু তথ্য দেন কল্যাণী থানায়। তখন তদন্তে নেমে পুলিশ দেখে সরিফুল এইমস হাসপাতালের একজন চাকরিপ্রার্থী। কিন্তু চাকরি পাননি। বিজেপি নেতাদের একটি অংশ টাকার বিনিময়ে প্রভাব খাটিয়ে কল্যাণীর এইমস হাসপাতালের বিভিন্ন পদে চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন অনেককে। সেই তথ্যপ্রমাণ তুলে দেওয়া হয়েছে সিআইডি’র হাতে।