হুগলির ভদ্রেশ্বরে গোষ্ঠীসংঘর্ষের পর স্থানীয় সাংসদকে সেখানে ঢুকতে দিল না পুলিশ। রবিবার ওই ঘটনার পর সোমবার এলাকায় যাওয়ার চেষ্টা করেন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু মাঝপথে তাঁর গাড়ি আটকায় পুলিশ। ঘটনায় পুলিশ ও রাজ্য সরকারকে বিঁধেছেন বিজেপির এই মহিলা নেত্রী।
রবিবার লকডাউন ভাঙা নিয়ে ভদ্রেশ্বরের তেলিনিপাড়ায় উত্তেজনা ছড়ায়। চন্দননগরে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। অভিযোগ, এই পরিস্থিতিতে লকডাউনের পরোয়া না করে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে একটি গোষ্ঠীর সদস্যরা। এই নিয়ে উত্তেজনা ছড়ালে সংঘর্ষ বাঁধে। স্থানীয় বেশ কয়েকটি দোকানে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। বোমাবাজিও হয় বলে স্থানীয় সূত্রের খবর।
ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে বিশাল পুলিশবাহিনী। রাতভর তল্লাশি চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় ১৫ জনকে। সকালে এলাকায় যান চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবির।
সোমবার সকালে তেলিনিপাড়ায় পৌঁছনোর চেষ্টা করেন বিজেপি সাংসদ লকেট। পথে মানকুন্ডুতে তাঁর গাড়ি আটকায় পুলিশ। এর পরই পুলিশ ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করেন তিনি। আমি পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলাম। এলাকায় কোনও উত্তেজনা ছড়ানোর মতলব আমার ছিল না। এটা কি মগের মুলুক নাকি? এলাকায় সংক্রমণ ধরা পড়ার পরেও একটি গোষ্ঠীর লোকেরা কোয়ারেন্টাইনে যেতে চাইছেন না।
প্রশ্ন হল পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে দেখা করতে তাঁর অফিসে না গিয়ে হিংসা কবলিত এলাকায় কেন যাচ্ছিলেন বিজেপি সাংসদ?